• সমগ্র বাংলা

পঞ্চগড়ে পাটবীজ ও সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:৩৫:৩২

ছবিঃ সিএনআই

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রণোদনা পাটবীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাথের অভিযোগ তুলেছেন কৃষকেরা, ইউনিয়ন পরিষদ ও পাট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে পাট প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণের ২ হাজার ২০০ জনের নামের তালিকায় নাম থাকলেও বেশির ভাগ কৃষক বীজ সার কোনটা পায়নি। আবার কেউ বীজ পেলেও পায়নি সার। এছাড়াও বিতরণ করা হয়েছে পাট চাষ মৌসুমের শেষ দিকে। এতে বীজ কাজে লাগাতেও পারেনি কৃষক। এখনো বীজ পরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের রুমে।

অথচ এই পাটের উৎপাদন বাড়াতে ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পাট চাষীদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রণোদনার পাটবীজ-সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতে ক্ষোভ কৃষকের মাঝে। এসময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী তুলেছেন তারা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ২০০ জন কৃষককে জনপ্রতি এক কেজি পাটবীজ ও সাড়ে ৯ কেজি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কৃষকপ্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া,২ কেজি টিএসপি,আড়াই কেজি এমওপি সার পাওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই পাটবীজ সার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

পাটবীজ ও সার বিতরণের তালিকায় নাম থাকা প্রায় দুইশত জনের সাথে কথা বললে, দেড়শ জনই কিছুই পাননি, তাদের কিছু নাম দেয়া হল।অমরখানা শুড়িভিটা এলাকার নজরুল ইসলাম, জামুরিবাড়ীর আব্দুল রহিত, পুকুরিডাংগার ছামিউল হক, টোকাপাড়ার রহিম,হেদায়েতুর রহমান,পানিহাগার সুপিয়ার রহমান,বসুনিয়া পাড়ার আব্দুস ছামাদ,খংগাপাড়ার আজিজার রহমান,সর্দারপাড়ার ইসমাইল হোসেন, যতনপুকুরির সলিউজ্জামান রাজু,আবুল হোসেন প্রমূখ।

পাটবীজ পেয়েছে ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আজিজুল হক, মোকছেদ আলী,অমরখানার আজিমুল,বামন পাড়ার আবুল কাসেম কিন্তু কোন সার পাননি তারা। এছাড়াও তালিকায় ভুয়া নাম ঠিকানাও ব্যবহার করা হয়েছে।

সারের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন,পাটবীজ কিছু পেয়েছি, সাথে ৫ কেজি করে সার।হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, অসময়ে পাটবীজ কিছু সার দিয়েছে। কেউ নিয়ে গেছে কিছু পরিষদে এখনো পড়ে আছে।

প্রণোদনার পাটবীজ ও সার বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বাদশা হােসেন বলেন, প্রথমদিনে উদ্ধোধন করে কিছু কৃষককে পাটবীজ সার দিয়ে, পরে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে হিসেব করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। জনবল না থাকায় আমাদের পক্ষে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ের দায়িত্বে থাকা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার বলেন, তালিকায় নাম থাকার পরও কোনো কৃষক বীজ ও সার সঠিকভাবে না পেয়ে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo