• সমগ্র বাংলা

টেকনাফে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ!

  • সমগ্র বাংলা
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৮:৩৩

ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজার প্রতিনিধি: টেকনাফে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম"র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ বানিজ্য ও সার বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত দরখাস্ত করেছেন বিসিআইসি ডিলার জালাল উদ্দীন। দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়, কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা সার বিলি-বণ্টন ব্যবস্থাকে নিজস্ব আয়ের উৎস হিসেবে নিয়ে সরকারী বিধিমালা মানছেন না।

নিজের ইচ্ছানুসারে এবং স্বেচ্ছাধীনভাবে কতিপয় নিজস্ব লোকদের মধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সার বিলি-বণ্টন ব্যবস্থ গ্রহন করে আসছে। কৃষি কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে নিজস্ব পন্থায় কতিপয় সাব-ডিলার ও কীটনাশক ঔষধ ডিলারদের মাধ্যমে সার বিলি-বণ্টন করে অন্যায়ভাবে লাভবান হচ্ছেন।

তাছাড়া উক্ত কৃষি কর্মকর্তা আকিরুল ইসলাম বিভিন্ন এনজিও সংস্থা হতে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনুমোদন দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রান্তিক চাষীদের কাছে সাবলীল ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক সার বন্টনে বাধাগ্রস্হ করে এবং প্রান্তিক চাষীগণ সারের অভাবে তাদের কৃষি জমিতে উৎপাদনে ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ করতেই পরোক্ষভাবে ডিলার জালাল উদ্দীনকে  বাধাগ্রস্থ করে আসছে।

মেসার্স হৃীলা এজেন্সির মালিক জালাল উদ্দীন বলেন,  বিধি বহির্ভূত সার বন্টনের কারণে দিনের পর দিন তার উত্তোলনকৃত সার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বেচা-বিক্রি করতে না পারায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি এবং সরকারের প্রদত্ত সার গুদামজাত হয়ে পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও কোন বিহীত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি।  এ কারণে দিনের পর দিন অত্র এলাকার সার বিলি বন্টনে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং আসন্ন ধান উৎপাদন মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার সমূহ আশংকা  দেখা দিয়েছে। 

দ্রুত সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োজিত ডিলারদের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সার বিক্রির ব্যবস্থা করা না হলে টেকনাফে খাদ্য উৎপাদনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি  দেখা দিতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। 

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  জাকিরুল ইসলাম বলেন," টেকনাফে কোথাও সারের সংকট নেই। কৃষি জমি ও চাষাবাদের আলোকে সার বন্টন করা হয়। সার বিক্রি করে 

অতিরিক্ত মুনাফা করতে না দেওয়ায় কেউ অভিযোগ করলে তা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নিবেন। " 

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, " টেকনাফে সার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে কোন সংকট ছিল না। এখন যদি ডিলার বা কর্মকর্তার মধ্যে টানাটানির কারণে সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo