• সমগ্র বাংলা

সিগারেট খাওয়া ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষকদের হুমকি, অভিমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৮ আগস্ট, ২০২৩ ১০:০০:১৪

ছবিঃ সংগৃহীত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বিদ্যালয়ের ছাদে সিগারেট খাচ্ছিলেন পাঁচ ছাত্রী। এদৃশ্য দেখে তা ফোনে ভিডিও ধারণ করেন দুই শিক্ষক ও এক আয়া। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের ডেকে এনে মারধর করে ক্ষান্ত হননি শিক্ষকরা। সাথে টিসি ও অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান শিক্ষকরা। সেই অভিমানে গলাই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন এক ছাত্রী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে সোমবার বিকেলে সুলতানপুর মাহতাবুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে এঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী ওই ছাত্রীর নাম মোছা. জিনিয়া খাতুন (১৪)।

তিনি ওই গ্রামের ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমানের মেয়ে এবং সুলতানপুর মাহতাবুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মরদেহটি বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে নিহত ছাত্রীর মামা জাহিদ হোসেন জানান, পাঁচজন ছাত্রী বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছাদে সিগারেট খাচ্ছিল। তাঁর ভাগ্নি জিনিয়া সেখানে ছিল। সিগারেট খাওয়া দৃশ্য লাল্টু ও ওয়ালিউর রহমান নামে দুই শিক্ষক এবং আয়া শিউলি খাতুন ভিডিও করেন। পরে ছাত্রীদেরডেকে এনে ব্যাপক মারপিট করেন এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয় দেওয়া সহ টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া ও অভিভাবকদের জানানোর ভয় দেখান।

তাঁর ভাষ্য, বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়িতে ফিরে শিক্ষকদের ওপর অভিমান করে নিজ ঘরে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে জিনিয়া। মঙ্গলবার থানায় মামলা করা হবে। এবিষয়ে জানতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়ালিউর রহমানের মুঠোফোনে (০১৭২৫-৭৮৯৪১৪) কল দেওয়া হলে কলটি প্রথমে ওয়েটিং দেখায়। পরে রিসিভ না করেই ফোনটি বন্ধ রাখায় তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও নিহত ছাত্রীর নানা গাজীউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ভুল করতেই পারে। তাই বলে কি শিক্ষকরা এভাবে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাবে।

তিনি শিক্ষকদের শাস্তির দাবি জানান। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, তিনি বিকেলে কাজে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে এসেছিলেন। পরে একজনের মাধ্যমে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঘটনা শুনেছেন। তবে সত্য কি মিথ্যা তা তিনি আগামীকাল জানাতে পারবেন। তাঁর ভাষ্য, ছাত্রী তো মরেই গেছে। এখন এসব বলে কি হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কাজী এজাজ কায়সার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানাতে পারবেন তিনি। কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo