• সমগ্র বাংলা

কক্সবাজারে ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী, ৪ জনের মৃত্যু

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৮ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:৫২:২৮

ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ চলামান মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে, কয়েক দিন টানা ভারী বৃষ্টি  বর্ষণের ফলে ইতিপূর্বে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়  পাহাড় ধ্বস ও দেওয়াল চাপায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী, ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, লবণ মাট,  ক্ষেত কামরারে ফসিল জমি, বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে এক স্থবিরতা। তবে বিশেষ করে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার জন্য মাইকিংসহ বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে স্হানীয় প্রশাসন।

নিহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের সবুজ পাতা( বরগুনা) এলাকায় পাহাড় ধসে মাটির দেওয়ালের চাপা পড়ে জনৈক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর দুই শিশু তাবাচ্ছুম (০১) ও মোহাম্মদ সাবিদ(০৫),। অন্যদিকে একই দিনে সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উখিয়া ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।   উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কমান্ডিং অফিসার মো. আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়ার পানবাজার এলাকার ৯ নং ক্যাম্পের এ/৬ ব্লকে রোহিঙ্গা আনোয়ার ইসলামের বাসার শেডের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে।

খবর পেয়ে পানবাজার পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মাটির নিচ থেকে জান্নাত আরা ও তার শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। চকরিয়া উপজেলায় এক পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান জানান, এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রবিবার রাত থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বরইতলী ইউনিয়নসহ চকরিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সোমবার বিকালে বরইতলী ইউনিয়নে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আনোয়ার হোসেনের ঘরের দেয়ালে পাহাড় ধসে তার দুই শিশুসন্তান চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।এদিকে টানা ভারী বৃষ্টি বর্ষণে কক্সবাজার পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রধান সড়ক ও হোটেল হোটেল জোন এলাকা। এতে যান ও জন চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার  হচ্ছেন স্থানীয়রা। পানিতে ডুবে গেছে পৌর শহরের বিভিন্ন হাট বাজার, দোকানপাট ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo