• সমগ্র বাংলা

ফরিদপুরের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, এক পক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর লুটপাট অগ্নি সংযোগ : আহত ২৩

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে সংঘর্ষ ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের  ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন ও ৩ পুলিশ সদস্য সহ ২৩ জন আহত হয়েছে। 

জানা যায়,  ফরিদপুর ১ আসনে দুই মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভক্তি চলে আসছিল।

এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক বিএনপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।

শুক্রবার বিকালে উভয়পক্ষ ফরিদপুরের বোয়ালমারী বাজারে পৃথকভাবে ৭ নভেম্বর পালনকে উদ্দেশ্য করে কর্মসূচি আহ্বান করে।

স্থানীয়রা জানায়,  বিকেলে দুই পক্ষের  লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিলো। উভয় পক্ষের শত শত মানুষ যাওয়া আসা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের শতশত মানুষ লাঠিসোটা ইট পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াবদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশেপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০ টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত আট থেকে দশটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে আসলে বিক্ষুব্ধদের মুখে পড়ে ফিরে যায়। 

পরে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ব্যাপারে শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু বলেন, প্রশাসনকে জানিয়ে আমরা ওয়াপদার মোড়ে অনুষ্ঠান করছিলাম। এসময় নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে নিয়ে অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে ও বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় আমার ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ও তারেক রহমানের ব্যানার ভাংচুর করা হয়েছে। 

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, আমি ছিলাম মধুখালী। আমাদের লোকজনদের উপর হামলা করা হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে জখম করে। ওরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের উপরে উঠে আমার সমর্থদের উপর ইট ছুড়ে মারলে চার-পাঁচজন কয়েকজন আহত হন। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শপিং কমপ্লেক্সে হামলা করতে পারে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিএনপির  দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ভাংচুর ও অগ্নিংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসার পর পরিস্থিতি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

মন্তব্য (০)





image

পাবনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার দাশুড়িয়া পুরাতন ট্রাফিক মোড়ে উৎসবমুখ...

image

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ফেলে উধাও অভিভাবক, ম...

দিনাজপুর প্রতিনিধি: হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে ...

image

শার্শায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস ...

বেনাপোল প্রতিনিধি : বিভিন্ন আয়োজনে যশোরের শার্শায় ঐতিহাসিক ...

image

ফরিদপুরের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, এক পক্ষের ...

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালনক...

image

মেলান্দহে সিদ্দিকী শুভ'র নেতৃত্বে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও...

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের ধ...

  • company_logo