
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ দুইপক্ষের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের সত্তারঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মারা যান। আজ মঙ্গলবার তার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে পৌরসভার বড়বাড়ি পাড়াতে যাচ্ছিলাম। গহিরা সত্তারঘাট ব্রিজ পাড় হলে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার গাড়িবহরে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, আমি গাড়ি থেকে নামলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। একটি গুলি আমার ঘাড় ঘেঁষে চলে যায়। এতে আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জানা যায়, দুপক্ষের আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুপক্ষের নেতাদের দাবি এ ঘটনায় ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের জেলা পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাউজানে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এই বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘আগামী ৯ আগস্ট রাউজানে জুলাই শহীদদের স্মরণে রাউজান কলেজ মাঠে বিএনপির কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আজ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি গহিরা সত্তারঘাট এলাকায় গেলে শহর থেকে গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বে রাউজানের দিকে আসা নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। সংঘর্ষে আমাদের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জরুল হক বলেন, গোলাম আকবর খোন্দকার আওয়ামী দোসরদের নিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ মোটর শোভাযাত্রায় হামলা করেছে। অনেক নেতাকর্মীর রক্ত ঝরেছে। তাদেরকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রাউজানে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। বিস্তারিত জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: গত মঙ্গলবার রাত থেকে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎ...
নওগাঁ প্রতিনিধি: বর্তমানে নওগাঁয় রাজনৈতিক সহিংসতা মামলার ভয়ে...
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বি...
নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় নাশকতার মামলায় নুরুল ইসলাম, ...
মন্তব্য (০)