• বিশেষ প্রতিবেদন

গোপালপুরে ব্যাপক মড়কে সর্বশান্ত হচ্ছে পোল্ট্রি খামারীরা

  • বিশেষ প্রতিবেদন

ছবিঃ সিএনআই

গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ব্যাপক হারে মড়কের প্রাদুর্ভাব ঘটায় সর্বশান্ত হচ্ছে পোল্ট্রি খামারীরা। প্রতি দিনই মারা যাচ্ছে লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগি। প্রাণী সম্পদ অফিস মড়ক রোধে কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ খামারিদের।   

পোল্ট্রি খামারিরা জানান, বেশ কিছু দিন ধরে ডিমের দাম পড়ে গেছে। মুরগীর দামও তুলনা মূলকভাবে কম। কিন্তু খাদ্য, ভ্যাক্সিন ও ওষুধের দাম  বাড়ছেই। ফলে বেকার যুবক ও উদ্যোক্তা, যারা ব্যাঙ্ক ঋণ বা ধারদেনা করে খামার করেছিল, তারা লোকসানে যাচ্ছেন। গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো দেখা দিয়েছে মড়ক। প্রতিদিন শত শত মুরগী মারা যাচ্ছে। অনেক খামারি এর মধ্যে ফতুর হয়ে গেছে।  

গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের মাকুল্লা গ্রামের শামীম হোসেন ও চর শিমলা গ্রামের রুবেল হোসেন এর খামারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১২শ করে মুরগি মারা গেছে। রোগাক্রান্ত মুরগি প্রথমে ঝিঁমুতে থাকে। পরে দপ করে মারা যায়। 

 

রুবেল হোসেনের অভিযোগ, চিকিৎসার কাজে গোপালপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে ভালো সার্ভিস দেয় না, আবোল তাবোল কোম্পানির ওষুধ লেখে! এমতাবস্থায় মধুপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সহযোগিতা নিয়ে থাকেন তিনি। এটি বার্ডফ্লু না রাণীক্ষেত রোগ তাও শনাক্ত করা যায়নি।

 

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পোড়াবাড়ী গ্রামের শফিক মিয়ার খামারের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুরগী মারা গেছে। একই গ্রামের মামুন মিয়ার এক হাজার সাতশ, চন্দবাড়ী গ্রামের মোশারফ হোসেনের প্রায় ২ হাজার, আভুঙ্গি গ্রামের আব্বাস আলীর ১ হাজার ২শ, চন্দবাড়ী আলম হোসেনের প্রায় ৩ হাজার, হাশেম  মিয়ার ১ হাজার ৭শ এবং মাইনুল হোসেনের ৪শ মুরগী মারা যায়। কমবেশি সব খামারেই মুরগি মরছে প্রতিদিন। ভূক্তভোগী খামারীরা অভিযোগ করেন, প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ও মাঠ কর্মী কখনো খামার পরিদর্শন করতে যাননা। কারিগরী ও সময়োচিত পরামর্শ না পেয়ে খামারীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছেন।

 গোপালপুর বাজারের ফিড ব্যবসায়ী এবং ভেটেরিনারি কর্ণারের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, ২সপ্তাহ আগে আগে দুইটি খামারের সাড়ে তিন হাজার মুরগি মারা যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানে পড়েছে।

প্রাণী সম্পদ খাতের ওষুধ উৎপাদনকারি একমির আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ নাসির আহমেদ মড়কের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘাটাইল ও গোপালপুর উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত ফাউল কলেরা ও টাইফয়েড। কোন কোন স্থানে রাণীক্ষেত রোগ ও দেখা যাচ্ছে। খামারিদের মধ্যে তিনি কাজ করছেন। মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন। 

গোপালপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ অর্জুন দেব জানান, খামারে মড়কের প্রাদুর্ভাব ঘটার খবর তিনি জানেননা। 

গোপালপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ গোলাম মোরশেদ জানান, পরিক্ষা ছাড়া বলা যায় না এটা বার্ড ফ্লু কিনা, আপাতত কিছু পরিক্ষা মনে হচ্ছে ওটা রাণীক্ষেত। কতগুলো খামারের মুরগি মড়কে শেষ হয়েছে তিনি জানেন না।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে তথ্যানুযায়ী উপজেলায় মুরগীর সংখ্যা ৭,৪১২০৬টি, হাসের সংখ্যা ১,০৩৫৫৬টি, লেয়ার মুরগীর খামার ৩৭০টি, ব্রয়লার মুরগীর খামার ১৬৬টি, সোনালি মুরগীর খামার ২৪টি, নিবন্ধনকৃত মুরগীর খামার ১৬টি।

মন্তব্য (০)





image

পহেলা বৈশাখে লোকজ শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটলো নতুন প...

নওগাঁ প্রতিনিধি: পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। বৈশাখ বলতে আমরা গ্...

image

পাবনায় হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা শুরু

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরের পৌর শহরের অদূরের গ্রামে বোঁথড়। এ গ্রামে প্...

image

বৈশাখী মেলাকে ঘিরে ব্যস্ত জাম গ্রামের কাগজের রঙ্গিন ফুল ত...

নওগাঁ প্রতিনিধি: আসছে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখ মানেই বিভিন্ন...

image

পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির নীলগাই উদ্ধার

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির এক...

image

দুটি কারণে নওগাঁয় প্রতিবছরই কমছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

নওগাঁ প্রতিনিধি: সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে নওগাঁর মাঠগুলো। বর্তমানে স...

  • company_logo