• বিশেষ প্রতিবেদন

জামালপুরে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন

  • বিশেষ প্রতিবেদন

ছবিঃ সিএনআই

মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের অর্ধশত বসতবাড়ি, গ্রামীণ রাস্তা,গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন জিঞ্জিরাম নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের মানুষ। নদী ভাঙনে দুই ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের উজান কলকিহারা, ফকিরপাড়া, বাঘাডুবা গ্রাম। এবং প্রায় পাঁচ বছরে জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙনের কবলে নিঃস্ব হয়েছে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাংগালপাড়া ও কুতুবেরচর গ্রামের মানুষ।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধশত বসতভিটা, একটি গ্রামীণ রাস্তা, কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা ও বিস্তীর্ণ ফসিল জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে কুতুবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন।

কুতুবেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বিঘা জমির ধান খেত নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে বাংগালপাড়া, কুতুবেরচর ও বাঘাডুবা গ্রামে গিয়ে এমন করুণ দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে মালপত্র ও ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: মাসুদ রানা বলেন, যেসব পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নকিবুজ্জামান খান বলেন, এই মুহূর্তে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। পানি কমলে ভাঙনরোধে কাজ করা হবে। এর মধ্যে জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙনরোধে একটি প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo