
ছবিঃ সিএনআই
খুলনা প্রতিনিধি : স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে ছিলেন এশিয়ান টিভির খুলনা প্রতিনিধি বিএম রাকিব হাসান। হঠাৎ করেই রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘিরে ধরল ১৫-২০ জনের একদল যুবক। জোর করে নামিয়ে নেওয়া হলো গাড়ি থেকে। শুরু হলো জনতার নামে মবের তাণ্ডব। মারধর, হুমকি, অপমান—সব ঘটল প্রকাশ্যে, নিজের পরিবারের সামনে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই লোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি গাড়ির গতিরোধ করে রাকিবকে নামিয়ে একপাশে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন অভিযোগ তুলে বাকবিতণ্ডা শুরু করে, যা মুহূর্তেই রূপ নেয় মারধরে। শুধু মারধর নয়, রাকিবের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ।
সাংবাদিক রাকিব হাসান বলেন, “ঘটনাটি একদম পরিকল্পিত। এমনভাবে আমাকে ঘিরে ধরা হয়েছিল যে, কিছুই করার ছিল না। আমার স্ত্রী ও সন্তানের চোখের সামনে এসব হয়েছে। আমি আতঙ্কে ছিলাম তাদের নিরাপত্তা নিয়েই।”
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে, তবে এধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
খুলনা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি ও মাইটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান শিশির রঞ্জন মল্লিক বলেন, “এটা নিছক মারধর নয়, এটা সমাজে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে ফেলার একটি কৌশল। সাংবাদিক হোক বা সাধারণ মানুষ—কারো কোনো ভুল থাকলে তার বিচার রয়েছে আদালতে। রাস্তায় এভাবে মব তৈরি করে ‘বিচার’ চালানো একধরনের অপরাধ। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হয়ে এই সংস্কৃতি রুখতে হবে।”
এ বিষয়ে রূপসা থানার ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সাংবাদিক রাকিব হাসানের ওপর এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে খুলনার সাংবাদিক সমাজ। তারা বলছে, আজ একজন সাংবাদিক, কাল হয়তো সাধারণ পথচারী। মব কালচারের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার না হলে আইনবিরোধী এই ‘সামাজিক বিচারের’ সংস্কৃতি পুরো সমাজকে গ্রাস করে ফেলবে।
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ত...
খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের সংগঠন খুলনা সাং...
নিউজ ডেস্ক : গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিয়ে নিউজপেপার ...
পবিপ্রবি প্রতিনিধি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসিক ভূমিকার স্বীক...
মন্তব্য (০)