ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলা বিমান হামলার মধ্যে গাজাবাসীর মরার উপর খাঁড়ার ঘা উঠেছে শীতকালীন বৃষ্টি। ডুবে গেছে লাখ লাখ ঘরছাড়া মানুষের আশ্রয়শিবির।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবারের বন্যা মূলত উপত্যকার উত্তরে ফিলিস্তিনিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘ যখন সতর্ক করে আসছে যে, ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার কারণে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবারের কাছে পর্যাপ্ত আশ্রয় সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না, ঠিক সেই সময়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপত্যকার বাসিন্দাদের আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতভর বৃষ্টিতে সকালে তাঁবু খোলার পর দেখা গেছে ভেতরে হাঁটুসমান পানি। ভিজে গেছে শিশুদের কাপড় ও খাবার। গাজা সিভিল ডিফেন্স বলছে, সরঞ্জামহীন অবস্থায় তারা ‘শত শত’ সহায়তার আবেদন পাচ্ছে, কিন্তু সাড়া দেয়ার মতো সক্ষমতা নেই।
শুক্রবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আব্দুর রহমান আসালিয়াহ আল জাজিরাকে বলেন, বন্যায় বাসিন্দাদের কাপড়সহ অন্যান্য সব জিনিসপত্র ভিজে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা সাহায্যের জন্য আবেদন করেছি। নতুন তাঁবু দরকার যা অন্তত শীতের ঠান্ডা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। এলাকা থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় দুই ডজন মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
গাজার বাস্তুচ্যুত এই বাসিন্দা আরও বলেন, শীতকালীন এই বৃষ্টি আল্লাহর আশীর্বাদ, কিন্তু এখন অনেক পরিবারই এই বৃষ্টি চায় না। তাদের সন্তানদের জীবন ও নিজেদের বেঁচে থাকা নিয়ে ভয়ে আছ।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবারের বন্যা মূলত উপত্যকার উত্তরে ফিলিস্তিনিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লাখ লাখ বাসিন্দা এখানে ফিরে এসেছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতেও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো তাদের কষ্ট লাঘবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত বাড়ি ও তাঁবুর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, ১৪ লাখ মানুষ জরুরি আশ্রয়সামগ্রী চাইলেও সংগ্রহ করা যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় সরবরাহ। একই সময়ে অবকাঠামো ধ্বংস, চিকিৎসা সংকট ও নিরাপত্তাহীনতা মিলিয়ে দক্ষিণ গাজা দ্রুত ‘অসুরক্ষিত মানবিক অঞ্চলে’ রূপ নিচ্ছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিয়াফরি স্যামসুদ্দিন জানিয়েছেন, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও সামরিক সদস্য মিলিয়ে ২০ হাজার কর্মী গাজা মিশনের জন্য প্রস্তুত। জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন অথবা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : এক ডকুমেন্টারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক ডকুমেন্টারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনা...
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরক...
নিউজ ডেস্কঃ গাজা শান্তি পরিকল্পনা অনুমোদন করতে মার্কিন ...
নিউজ ডেস্কঃ ৩০তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্ব পাওয়ার ক...

মন্তব্য (০)