
জামালপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ বছর পর আগামী ২৩ আগষ্ট জামালপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন বন্ধের দাবিতে বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে মিছিল ও সমাবেশ দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে এক সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান জিলানী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান জেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি অবৈধ। ৯ বছর হলো এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আগামী ২৩ আগষ্ট সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এই তৃণমূল বিএনপি এই সম্মেলন মানেন না৷ তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে আহবায়ক কমিটি অথবা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়ার দাবি জানান তারা।
জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক বলেন, সম্মেলন সম্মেলন খেলা চলবে না। আজকে ১৬ আগষ্ট জেলা বিএনপি মিটিং করছে। যখন কোন দরকার পড়ে এটাকে জায়েজ করার জন্য বৈধ করার জন্য আমাকে ফোন দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে কোন দিন ফোন দেয় নাই। দল কি তোমরা জন্ম দিছ। সিরাজুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি জম্ম লাভ করছে। এই দল জনগণের দল। এই দলের মধ্যে যারা সুশৃঙ্খল, ভালো দেশপ্রেমি তারাই নেতৃত্ব পাবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহম্মেদ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের কাছে উদাত্ত আহবান জানাবো। আপনি প্রতিনিধি পাঠিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন জামালপুর জেলা বিএনপি কিভাবে চলছে। জামালপুর বিএনপির সম্মেলন করতে দেয়া যাবে না। তিনি সম্মেলনে বন্ধ করে প্রথমে আহবায়ক কমিটি বা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এই দাবি না মানা হলে সম্মেলন প্রতিহত করার হুশিয়ারী দেয়া হয়।পরে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে শহরের সিংহজানী উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আগমগীর ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম সভাপতি এবং এডভোকেট শাহ্ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেন জেলা বিএনপির কমিটি কমিটি ঘোষনা করেন। এরপর আগামী ২৩ আগষ্ট জামালপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন হবার কথা রয়েছে।
জামালপুর জেলা বিএনপির আভ্যন্তরীণ দীর্ঘ দুইযুগের বেশি সময় ধরে। জেলার এই বিরোধকে কেন্দ্র করে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হত্যাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা।
এরপর থেকেই মূলতঃ বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিএনপির কোন্দল নিরসনে একাধিকবার দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদার, আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সর্বশেষ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন দফায় দফায় বৈঠক করে কোন্দল নিরসনে ব্যর্থ হয়েছেন। বিরোধ কোন্দলে বিএনপি থেকে অনেকেই রাজনীতি থেকে সটকে পড়েন। ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মতো দলের বিরোধ কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান করলেও তাতেও কোন কাজ হয়নি জামালপুর বিএনপিতে।
মন্তব্য (০)