• তথ্য ও প্রযুক্তি

বাসা-বাড়িতে দরজায় এই স্মার্ট লক থাকলে চোরের সাধ্য নেই ঘরে ঢোকার

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • ২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫৩:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতের নিরাপত্তায় এলো স্মার্ট লক। যা মূলত ডিজিটাল তালা। এই লক এতটাই উন্নত যে পাসওয়ার্ড, ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা ফেস আইডি ছাড়া কাজই করবে না। অর্থাৎ দরজায় এই লক থাকলে চোরের সাধ্য নেই এই লক ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করার। 

স্মার্টফোনের মতো এই স্মার্ট লকও বাড়ি বা অফিসের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। স্মার্টফোন থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই লক খোলা-বন্ধ করা যায়। কেউ স্মার্ট লক বেআইনি ভাবে খোলার চেষ্টা করছে কি না, সেটাও দূরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে টের পাবেন। ফলে তালা ভাঙা বা চাবির ছাপ চুরি করে ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করে কেউ বাড়ি বা অফিসের তালা খুলে চুরি করবে, সেটা সম্ভব নয়। সঙ্গে নতুন ফিচারও আছে।

যেমন, বাড়ির অন্য সদস্যরা যাতে ওই লক খোলা-বন্ধ করতে পারেন তাদের স্মার্টফোন থেকে, সেটা ঠিক করা সম্ভব। সেই লককে সুরক্ষিত করতে পরিচিত কয়েকজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও নম্বর-পাসওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেন। বাড়ি বা অফিসে স্মার্ট লক এক বার লাগালেন মানে সুরক্ষিত, সেটা নিশ্চিত! বাড়ির সবার জন্য আলাদা লকের চাবি তৈরির ব্যাপার নেই। বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে না বের হলে বা চাবি হারালে বিপদের আশঙ্কা নেই। সব দিক থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত।

সত্যি তাই? এক বার স্মার্ট লক লাগালেন মানে সেটা দুর্ভেদ্য দুর্গ, বলা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটেই নয়। বরং স্মার্ট লক সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিধি মানতে হবে। তা না হলে আপনার স্মার্ট লক কিন্তু পুরনো তালার থেকেও আনস্মার্ট হয়ে উঠতে পারে।

কেন স্মার্ট লক মানেই চূড়ান্ত সুরক্ষা নয়?

সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু আপনার স্মার্টফোনের মতো বাড়ি বা অফিসের স্মার্ট লকও কাজ করে ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে, এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্কও হ্যাক করা সম্ভব, তাই আপনার স্মার্ট লকও হ্যাক করা সম্ভব। সে জন্য সবার আগে দরকার আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখা। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক যে রাউটারের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, তার পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখা প্রয়োজন। জটিল পাসওয়ার্ড (যেখানে স্মল ও ক্যাপিটাল লেটার, সাইন, নম্বর মিলিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে) ব্যবহার করুন। ওয়াইফাই কানেকশন নেওয়ার সময়ে আপনার সার্ভিস প্রোভাইডার প্রথমে পাসওয়ার্ড সেট করে দেয়। সেই পাসওয়ার্ড প্রথমেই বদল করে নিন। এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওই পাসওয়ার্ড বদল করতে হবে।

এরপরে আপনি যে স্মার্ট লক কিনছেন বা ইনস্টল করছেন, তার পাসওয়ার্ডও আপনাকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলাতে হবে এবং আপনার নিজের বা পরিবারের অন্য সদস্যদের স্মার্টফোনে সেটাকে ফিড করাতে হবে, যাতে কোনও ভাবে স্মার্ট লক আপনাদের খুলতে সমস্যা না হয়। স্মার্ট লকের এনক্রিপশন ঠিক রয়েছে কি না, সেটা ভালো করে দেখে নিতে হবে। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যদের স্মার্টফোনের সুরক্ষা।

কারণ, স্মার্ট লকের গোটা অপারেশনটাই নিয়ন্ত্রিত হবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। তাই স্মার্টফোনে পাসওয়ার্ড আর টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করুন। কোনও ভাবে স্মার্টফোনটি হাতছাড়া হলেও যেন অন্য কেউ তা ব্যবহার করে অফিস বা বাড়ির স্মার্ট লক খুলে ফেলতে না পারে। মাথায় রাখুন, স্মার্ট লক কতটা সুরক্ষিত, তা নির্ভর করছে আপনি কী ভাবে সেটা ব্যবহার করছেন, তার উপর। তা হলে, নো টেনশন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo