• শিক্ষা

সৈয়দপুরে এইচএসসিতে পাশের হার ৯১ ভাগ, শতভাগ পাস ৩ প্রতিষ্ঠান, ১০৯৭ জন জিপিএ-৫

  • শিক্ষা
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৪৩:৪৬

ছবিঃ সিএনআই

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯১ শতাংশ। শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেছে ৩ টি প্রতিষ্ঠান। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯৭ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায়, উপজেলার ১৪ টি কলেজের ৩৩২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী এবারের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে পাশ করেছে ৩০২২ জন। ফলে পাশের হার দাড়িয়েছে ৯১ শতাংশ। সবচেয়ে ভালো করেছে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। শতভাগ পাশের পাশাপাশি জিপিএ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে।

এই কলেজ থেকে ২৬৪ জন পরীক্ষার্থীর সকলে পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৫ জন।দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৪৭৪ জন পরীক্ষার্থীই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন।শতভাগ পাসের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ। এই কলেজের ১১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে তৃতীয় সৈয়দপুর সরকারি কলেজ। এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৬ জন। ৪৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭৪ জন। পাসের হার ৯৫.৩৭।

পাসের হার অনুযায়ী চতুর্থ হয়েছে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের পাসের হার ৯৯.৭৭। এখান থেকে ৪৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৪২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৯ জন। এরপরই রয়েছে সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯৮ জন। পাসের হার ৯৬.৭৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। সৈয়দপুর মহিলা কলেজের পাসের হার ৯৬.১২। এই কলেজের ৩১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে কয়া গোলাহাট স্কুল এন্ড কলেজ।

আর নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খারাপ করেছে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। গোলাহাট কলেজ থেকে ১২৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৪ জন। পাসের হার ৫৪.২৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। আর পাইলট কলেজের ১৩৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ১১০ জন। পাসের হার ৮২.০৯ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। মফস্বলের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভালো করেছে হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৪০ জন। পাস করেছে ১২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। পাসের হার ৯২.০৯।এরপর রয়েছে লক্ষ্মণপুর স্কুল এন্ড কলেজ।

এখান থেকে ১৮৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৬৬ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৯.২৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। আর কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২০১ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৭১ জন। পাসের হার ৮৬.৩৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন।এছাড়া সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে ৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ জন আর  খালিশা বেলপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ জন। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo