• বিশেষ প্রতিবেদন

ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কুমিল্লার কৃষকরা 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫৯:০৫

ছবিঃ সিএনআই

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমনের বীজতলা, রোপা আমন, শাক-সবজি, রোপা আউশ, রোপা আমন ও আখের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। জেলায় আবাদ করা জমির পরিমাণ এক লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ হেক্টর। যার মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৭৪ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে সাড়ে ৮শ কোটি টাকা। 

এখনো পানির নিচে ডুবে আছে কুমিল্লার চার উপজেলা  বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ন জমি। তবে বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষকরা। আমন ধানের মৌসুম কাজে লাগাতে সঙ্কটের মাঝেও বীজতলা তৈরী আর বেশি দামেই চারা সংগ্রহ করে নেমে পড়েছেন তারা। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্মরণকালের প্রলয়ংকরী বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখ পড়েছে কুমিল্লার কৃষি। আউশের পাকা ধান আর রোপ আমনের বীজতলা - চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।  বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে শাক-সবজির খেত। মাচায় মাচায় ঝুলছে মৃত সবজির গাছ। এখনো কোথাও কোথাও বানের পানি জমে থাকায় জমিতে চাষাবাদ শুরু করা যাচ্ছে না।  জমির ফসল হারিয়ে নিঃস্ব অনেক কৃষক। তবুও অনেকেই আবার আশায় বুক বেঁধেছেন- পানি সরে যাওয়ায় সাথে সাথেই জমি তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছেন।  

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পয়ালগাছা ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামের কৃষক আঃ কাদের বলেন, ধান পেকেছে। দুই-এক দিন পরে ধান কাটার কথা ছিলো। এইবার ধানও হয়ে ছিলো। আগেরদিন রাতেই সব শেষ। পুকুরের ১লাখ টাকার উপরের  মাছও শেষ এবং জমির ধানও নাই। অন্যদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমার জমিতে পানি জমে সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে আসায় আবার নতুন করে চারা রোপনের জন্য তৈরী হচ্ছি। জমির পাশেই চারা এনে মজুদ রেখেছি। যদিও দ্বিগুণ দামে অনেক দূর থেকে চারা আনতে হয়েছে তাও মৌসুমটা ধরার চেষ্টা করছি।  

বন্যার কারণে বীজতলা বিনষ্ট, চারার সঙ্কট এবং বেশি দামে চারা সংগ্রহ করতে হলেও মৌসুম ধরতে মাঠে নেমেছেন কুমিল্লার কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রত্যাশা, সঠিক ভাবে সরকারি সহযোগিতা পেলে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি প্রণোদনা, বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ, ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ায় সহায়তা, বিনামূল্যে কৃষিসেবা ও সার্বিক সহযোগিতা করব।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo