• অপরাধ ও দুর্নীতি

জামালপুরে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে অধিগ্রহনরে চেক দাবি  

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:২৮:৫০

ফাইল ছবি

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর শহরের স্টেশন রোডে অধিগ্রহন করা জমিতে স্বত্ব না থাকার পরেও অধিগ্রহনের চেক দাবি করার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। অধিগ্রহনের চেক পাওয়ার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন করে আংশিক তথ্য পরিবেশনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের স্টেশন রোডের এক বাসায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

অধিগ্রহন শাখা থেকে জানা যায়- শহরের সিংহজানী মৌজার বিআরএস ৮৩৭৮ ও ৮৩৭৯ নং দাগে জমির পরিমান ৩৩.৮১ শতাংশ। সেই জমির মালিক খন্দকার ইলিয়াস মর্তুজা, তার পাঁচ ভাই ও দুই বোন। সেই হিসাবে ইলিয়াস মর্তুজা পারিবারিক আপোস বন্টনে বিআরএস ৮৩৭৮ নং দাগে ৩.৫৪ শতাংশ এবং বিআরএস ৮৩৭৯ নং দাগে ১.২৯ শতাংশ জমি পান। দুই দাগে ৪.৮৩ শতাংশ জমি পান ইলিয়াস মূর্তুজা। পরে তিনি সেই জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি তার স্ত্রী রুনা আলমকে দলিল করে লিখে দেন। এরপর সেখানে একটি দুতলা ভবন নির্মান করা হয়। সেখানেই তিনি দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন। এছাড়াও শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন আরও ২ শতাংশ জমি তিনি আলহাজ¦ আবু সাঈদ নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই হিসাবে তিনি ০.১৭ শতাংশ জমি বেশি বিক্রি করেন। এই বিষয় নিয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহন শাখায় অনেকবার শুনানি হয়। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে গেলেও আদালত কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি। সেই অধিগ্রহন করা জমিতে তার কোন স্বত্ব না থাকায় এবং শুনানি নিষ্পত্তি শেষে জমির প্রকৃত মালিকদের অধিগ্রহনের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়মের কোন সুযোগ নেই বা করা হয়নি।

মরহুম ইলিয়াস মর্তুজার স্ত্রী রুনা আলম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন- এটা হচ্ছে পৈত্রিক এজমালি সম্পত্তি। কোনো বন্টননামা নেই। সাঈদ হাজীর কাছে যে জমিটি বিক্রি হয়েছে সেখানে আমার স্বামী বা আমার স্বাক্ষর নেই। তাই আমি জমিটি আমার বলে দাবি করছি। আর আমি নারাজি দেয়ার পরও আমাকে না জানিয়ে চেক বিতরন করা হয়েছে। 

এবিষয়ে জেলা ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মাহাবুব হাসান বলেন-‘এই জমি নিয়ে অনেকবার শুনানি হয়েছে। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করেন। ওই জমিটি পরিমাপ করা হয়। রেজিস্ট্রি বন্টন হওয়ার আগেই রুনা আলমের স্বামী জমি বিক্রি করে দেন। যার কারনে বন্টননামার প্রয়োজন হয়নি। সার্ভেয়ারদের প্রতিবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে শুনানি নিষ্পত্তি শেষে আইন অনুযায়ি চেক বিতরন করা হয়েছে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo