• অপরাধ ও দুর্নীতি

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম বিক্রির অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৩২:২৪

ফাইল ছবি

রংপুর ব্যুরো: রংপুরে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার চাল-গম বিক্রি ও আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে রংপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।চাল-গম বিক্রির প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনায় কানিজ ফাতেমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার আসামিরা হলেন-রংপুর সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা,নিরাপত্তা প্রহরী চঞ্চল কুমার সিংহ এবং লেবার সরদার রবিউল ইসলাম।

মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলার এজাহার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,আত্মসাৎ করা খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১৪৪ দশমিক ৭৪৪ মেট্রিক টন ও গম ৩০৭ কেজি। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫শ ৪৪ খালি বস্তা লুট হয়েছে। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৪ টাকা দাবি করা হচ্ছে।

রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও মামলার এজাহার সূত্রে তথ্যে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর রংপুর সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম(এলএসডি) এলোমেলো ভাবে থাকায় স্থানীয় ও  কমকতাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।এরপর রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ অন্য কর্মকর্তার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

পরে কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেন।এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রইচ উদ্দিন ও সদস্যসচিব পীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমূল্য কুমার সরকার।এই তদন্ত কমিটি  ১০ দিন তদন্ত করে গত ১১ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর রংপুর সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের (এলএসডি) খামাল গঠন ও মজুত ব্যবস্থাপনায় অসংগতি পাওয়া যায়।এ জন্য ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা ও অন্য কর্মচারীদের উপস্থিতিতে গুদামের শ্রমিকদের মাধ্যমে খামাল গণনা করা হয়।এতে মজুত খাদ্যশস্যের ঘাটতি দেখা যায়।গুদামের মজুত যাচাই-বাচাইয়ে  গুদাম–সংশ্লিষ্ট সবার অহযোগিতা ও দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব ছিল বলে তদন্তের প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে রিপোট দাখিল করা হয়েছে।

রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন,তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে ১৪৪ দশমিক ৭শ ৪৪ টন চাল, ৩শ ৭ কেজি,গম ৯ হাজার ৫শ ৪৪টি খালি বস্তা পাওয়া যায়নি।এগুলো সরিয়ে ফেলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তদন্তে প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত রংপুর সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রংপুর মহানগর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থাকায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগে কানিজ ফাতেমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৬সেপ্টেম্বর )এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) শাহ আলম জানান,গত শনিবার রাতে মামলা হয়েছে।এ মামলার নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে।তিনি বলেন,এ মামলায় রংপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার চাল-গম বিক্রির আত্মসাতের অভিযোগে  সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা  দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo