• স্বাস্থ্য

হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারন

  • স্বাস্থ্য
  • ২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১৮:২৬:০৪

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।শনিবার(২৪ আগস্ট)সকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন।রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক)হাসপাতাল চত্বরসহ আশপাশে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্টসহ নানা আবর্জনা।দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা এসব আবর্জনা যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।এর ফলে বেষম্যবিরোধী শিক্ষাথী ও রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক,ও মেডিক্যাল কলেজের পরিচালকসহ শিক্ষাথী পরিস্কারের কাজ করেন।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা বেষম্যবিরোধী শিক্ষাথী ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষাথীরা্ও অংশগ্রহন করছেন ময়লা পরিস্কারের কাজে।

উদ্বোধনের পরেই শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনের বিভিন্ন পয়েন্টে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় হাতে লেখা ‘যত্রছত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করি, পরিচ্ছন্ন রংপুর গড়ি, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলি’ শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।শিক্ষাথীরা বলেন এ দেশ আপনা আমার সবার দায়িত্ব। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ যে সব স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা আর নোংরা পরিবেশে হাসপাতাল যেন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার রোগী থাকেন।চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ হাসপাতালের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ও মেডিকেল বর্জ্য জমা হয়।এখানে ডাস্টবিন না থাকাসহ সচেতনতার অভাবে সেখানে প্রতিনিয়ত খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলছেন রোগীর স্বজনরা।আর হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও ফেলছেন মেডিকেল বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান,মেডিকেল কলেজের আশে পাশে আজকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ঘরকে যেভাবে পরিষ্কার রাখি তেমন করেই আমাদের ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার রাখতে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যে চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, আমি সাধুবাদ জানাই। কিছু দিন আগে শিক্ষার্থীরা দেশের পরিবর্তন আনার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছে।তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু আন্দোলনের মাঠে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো সুন্দর বিষয়ে মনোনিবেশ করেছে।শিক্ষার্থীরা এখন জাতিকে পথ দেখাচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, জঞ্জাল—সব পরিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ভাবনা থেকে বিচ্যুত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে তোমাদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।এসময় বিভাগীয় কমিশনার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রংপুর সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।এর আগে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

এতে সাড়ে ৩ শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন—রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহ্ মো. সরওয়ার জাহান, রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব জয়শ্রী রানী রায়সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo