• অপরাধ ও দুর্নীতি

ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজির অপরাধে গ্রেফতার ১০ 

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৮ জুন, ২০২৪ ১১:০২:২৫

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহসহ সারাদেশে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পাইকারী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদনকারীদের নিকট হতে পন্য সামগ্রী সংগ্রহ পূর্বক ট্রাক/পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পৌঁছানোর সময় পথিমধ্যে নামে বে-নামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, অধিনায়ক র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশে র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মুহাঃ জাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে ২৭ জুন ২০২৪ সকাল ১১.৪৫ ঘটিকা থেকে দুপুর ২.৩০  পর্যন্ত ময়মনসিংহ এর আকুয়া বাইপাস এলাকা থেকে ৪জন, চরপাড়া এলাকা থেকে ৪জন ও শম্ভুগঞ্জ ব্রীজ এলাকা থেকে ২ জন সহ মোট ১০ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে  তাদের কাছথেকে উদ্ধার করা হয় চাঁদা আদায়ের নগদ ১৪,৬৪০/- .টাকা, "যানজট নিরশন কমিটি" নামের ৩টি কটি, ৩টি লাঠি এবং বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদ। 

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারা ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। তারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে। ড্রাইভাররা তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তারা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন হতে চাঁদা আদায় করে। উক্ত চক্রটি ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের নিকট হতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি তাদের আশ্রয়দাতা,পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও মদতদাতাদের ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানানো হয়। 

নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে স্থানীয়রা বলেন "গ্রেফতারকৃতরা হলো দিনচুক্তি কামলা। এদের দিয়ে যারা চাঁদা সংগ্রহ করে তারা সবসময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই বন্ধ হবে চাঁদাবাজি।"

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo