• অপরাধ ও দুর্নীতি

বীরগঞ্জে ক্লুলেস বৃদ্ধা হত্যার রহস্য উম্মোচন, জড়িত আপন তিন নাতী গ্রেপ্তার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৫ জুন, ২০২৪ ১৭:১৬:২৩

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা রেজিয়া বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উম্মোচনসহ হত্যায় জড়িত তার আপন তিন নাতীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে স্হানীয় থানা পুলিশ। গত ৬ জুন নিজ শয়ন কক্ষে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার ঘটনাটি প্রথমে ক্লুলেস ছিল। কিন্তু তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসে খুনে জড়িতদের পরিচয় হত্যার আসল কারন।

হত্যার শিকার রেজিয়া বেগম (৭৫) বীরগঞ্জের ধনগাঁও পশ্চিমপাড়ার শতবর্ষি সবদুল মিয়ার স্ত্রী।

হত্যাকান্ডের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গন মাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেছেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।  এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, বীরগঞ্জ থানার ইনচার্জ মজিবুর রহমান এবং ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সোহেল রানাসহ অন্যান্যরা।

পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ৬ জুন রাতে নিজ নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। রাতের কোন এক সময়ে চুপিসারে কয়েকজন বৃদ্ধার ঘরে টিনশেড ঘরে প্রবেশ করে। ট্রাংক ভেঙ্গে গরু ও গম বিক্রির ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সাত আনার স্বর্নালংকারসহ জমির দলিল গচ্ছিত হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা। শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বৃদ্ধার চোখে পড়ে তার ছেলে এবং মেয়ে পক্ষের তিন নাতিকে। চিনে ফেলা বৃদ্ধাকে আঘাত করে কাবু করে ফেলে তারা। এক পর্য্যায়ে জবাই করে হত্যার পর লাশ শয়ন কক্ষের খাটে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল তারা৷ হত্যার ওই ঘটনাটি প্রথমে ক্লুলেস হিসেবে মামলা দায়ের করেন বৃদ্ধার ছেলে সুনু মিয়া। তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথমে বৃদ্ধার দেবর আব্দুল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেনকে আটক করেন তারা। তার দেওয়া তথ্যসূত্রে বৃদ্ধার আরেক দেবর রেনু মিয়ার ছেলে হাসিম মিয়া এবং মেয়ে পক্ষের নাতি রমজান আলীকে আটক করে হত্যার পুরো রহস্য উম্মোচন ঘটেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। আটক তিন নাতির দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা এবং লুন্ঠিত জমির দলিল উদ্ধার করেছেন তারা। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo