• অপরাধ ও দুর্নীতি

ইউটিউবে লাইক দিয়ে আয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২১ জুন, ২০২৪ ২৩:৪৬:৫৭

ছবিঃ সিএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারনেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করার পথ খোঁজেন অনেকে। এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয়ের নামে ফাঁদ পেতে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে একটি চক্র। চক্রটি ইউটিউবের ভিডিওতে লাইক দিয়ে আয় করার প্রলোভন দেয়। একপর্যায়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রতারক। এমন প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেফতার মো. শফির (৩৬) বাবা মৃত আব্দুস ছমদ। বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারার থানার গুনদ্বীপ গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে এটিইউ।

এটিইউর পুলিশ সুপার শিরিন আক্তার জাহান জানান, ঘরে বসে অনলাইনে ইউটিউবে ভিডিও লাইক দিয়ে টাকা আয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেন শফি। প্রস্তাবে রাজি থাকলে তাদের প্রতিনিধি অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান। অভিযোগকারী সরল বিশ্বাসে তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে প্রতারকেরা তাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে।

ইনফর্ম এটিইউ অ্যাপের মাধ্যমে তোজাম্মেল হোসেন নামে একজন অভিযোগ করেন, গত বছরের ১৬ অক্টোবর ‘মালিহা বিনতে ইসলাম’ নামধারী একজন প্রতারক ওয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে কল করে নিজেকে ‘টেকনোবারি ডিজিটাল মার্কেটিং’য়ের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেয়। তিনি অভিযোগকারীকে ঘরে বসে অনলাইনে ইউটিউবে ভিডিও লাইক দিয়ে টাকা আয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি থাকলে তাদের প্রতিনিধি অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান।

অভিযোগকারী সরল বিশ্বাসে তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে প্রতারকেরা তাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে নিয়ে কাজের বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে থাকে। অভিযোগকারী মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে প্রতারকদের কথামতো তাদের দেওয়া ওয়েবলিংকে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। অভিযোগকারীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য উক্ত কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতারকেরা অভিযোগকারীর ব্যবহৃত নগদ হিসাব নাম্বারে ২১৩ টাকা পাঠায়। এসময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা অভিযোগকারীর কাজের ভলিয়ম অনেক বেশি এবং এজন্যে তাকে সিকিউরিটি বাবদ টাকা জমা দিতে হবে বলে জানায়।

ভুক্তভোগী তোজাম্মেল হোসেন সরল বিশ্বাসে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রের নিকট মোট ৩৪ হাজার টাকা দেয়। এরপর প্রতারকেরা অভিযোগকারীকে জানায়, তার কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে অনেক টাকার বিল জমা হয়েছে যেগুলো উত্তোলনে সিস্টেম রিপেয়ারিং করার জন্য আরো টাকা জমা দিতে হবে।

অভিযোগকারী পারিশ্রমিক পাওয়ার আশায় পুনরায় প্রতারকদের কথামতো তাদের দেওয়া বিকাশ এবং ইউসিবি ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে (চট্টগ্রামের কেরানীরহাট ও আনোয়ারা শাখায়) বিভিন্ন সময়ে মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৫২৯ পাঠায়। এভাবে সর্বমোট দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠানোর পর প্রতারকরা আরো টাকা চাইলে তোজাম্মেলের সন্দেহ হয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতারকচক্র তাদের সব মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তোজাম্মেল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মো. শফিসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo