• বিশেষ প্রতিবেদন

মা‌নিকগ‌ঞ্জে দেবে গে‌ছে বেইলি সেতুর পাটাতন, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩২:৫৬

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুতে যানবাহন উঠলেই দেবে যাচ্ছে পাটাতন। এতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। বেইলি সেতুর পাটাতন দেবে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা। আর দা‌বি জা‌নি‌য়েছে দ্রুত সেতু‌টি মেরামত করার।

হরিরামপুর ঝিটকা মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সেতুটিতে যানবাহন উঠলেই পাটাতন এক পাশে কাত হয়ে যাচ্ছে। তবে এর পাশেই একটি নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেইলি সেতুটির মাঝে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের সময় বিকট শব্দ হচ্ছে। একপাশে পাটাতন ৩-৪ ইঞ্চি নিচু হয়ে যাচ্ছে। নড়বড়ে পাটাতনগুলোর মধ্যে দুইটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইজিবাইক, ট্রাক, পিকআপসহ চলাচলকারি যানবাহন সেতুতে উঠলেই পাটাতনটি এক পাশে কাত হয়ে যায়। এতে পাটাতনটি ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানায়, বেইলি ব্রিজটি ২৫ থে‌কে ৩০ বছর আগে নির্মিত। তবে কয়েক মাস ধরে কয়েকটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। ৬ মাস আগেও একবার একটি পাটাতন মেরামত করেছিল সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও মেরামতের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই বড় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।

এদিকে বেইলি সেতুর পাশে আরেকটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। তবে অনেক দিন ধরে সেই সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। 

লেছড়াগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সুশান্ত সাহা বলেন, বেইলি ব্রিজের মাঝে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে আছে। সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের সময় পাটাতন দেবে যাচ্ছে। বিকট শব্দ হচ্ছে। পাটাতনটি ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছোট যানবাহন উঠলেও সেতুর পাটাতন কাত হয়ে যায়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন ক‌য়েকশ ইজিবাইক চলাচল করে বলে জানান স্থানীয় ইজিবাইক চালক অসিম মিয়া। তিনি বলেন, ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। ঈদের সময় চাপও বেড়েছে। পাটাতন দেবে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উঠলেও কাত হয়ে যাচ্ছে, যাত্রীরা ভয় পায়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের লোকজন সেতু পরিদর্শন শেষে মেরামত করবেন। পাশের নির্মাণাধীন সেতুর কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo