• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২২ কিশোর

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৯:১৫:৫১

ছবিঃ সিএনআই

ফেনী প্রতিনিধি: শিশু-কিশোরদেরকে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা জামে মসজিদ কমিটি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টানা ৪০ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিয়েছে ২২ জন শিশু-কিশোর। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মসজিদের সামনে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের নাম রেজিস্ট্রেশন ও নিয়মিত নামাজের জামাত শেষে ইমামের স্বাক্ষর সংগ্রহ বাধ্যতামূলক ছিল।

শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে এমন উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বগাদানা জামে মসজিদ কমিটি সেক্রেটারি ডা. এম এ ইউসফ বলেন, মূলত শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ যোগাতে এমন আয়োজন করা হয়েছে।  আমরা বলেছিলাম, ১০ বছরের শিশু থেকে ১৮ বছরের কিশোররা যদি ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার শিশু-কিশোররা মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করে।

তাদের মধ্য থেকে ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়া যাচাই-বাছাই করে সাইকেল এবং বাকিদের টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্থানীয় অভিভাবকরা এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ কার্যক্রম বাচ্চাদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। আমরা বিষয়টি কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, ছেলেরা নামাজে নিয়মিত আসছে। তাদের পদচারণায় মসজিদ সব সময় মুখরিত থাকত। চল্লিশ দিন টানা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বাইসাইকেল প্রতিযোগিতায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে - মেহেদি হাসান, সাফাত আল তাওসিপ , মো. আশরাফুল হক, মেহেদি হাসান, তামিম উদ্দিন ( সোহান), মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রহিম, তাসনিমুল ইসলাম , নুরের জামান (মারুফ) , মো. সাজেদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম।

আরমান আলা উদ্দিন, ওমায়ের হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান হোসেন (মেহরাজ), রিয়াদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, তানবীরুল ইসলাম। দুই হাজার টাকা করে পেয়েছে - ছালেহ আহমেদ, মো: ইয়াছিন, মো. ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, মো. দুলাল।  পুরস্কারপ্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলে, আমরা এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করব।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo