• অপরাধ ও দুর্নীতি

টাঙ্গাইলে পিবিআই কর্তৃক ক্লুলেস হত্যা মামলায় ভাই'সহ ২ আসামি গ্রেফতার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৭:৫৫:৪৭

ছবিঃ সিএনআই

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মুকুল (২৪) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনপূর্বক  মূল হোতা বড় ভাই সোহেল (৩৪) ও বন্ধু শ্রী পরেশ চন্দ্র শীল ওরফে নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃত আসামি ২ জন হলো টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার পারখী ইউনিয়নের মোঃ হানিফার ছেলে সোহেল ও দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর থানার উত্তর দগর বাড়ি গ্রামের মৃত রমনী কান্ত শীলের ছেলে শ্রী পরেশ চন্দ্র শীল ওরফে নাজমুল হোসেন।

টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন এর নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান আনসারীর নেতৃত্বে পিবিআই টিম এ মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলি নূর (পিপিএম) ,পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান আনসারী, পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবীর'সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। পিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সোহেল জানায়, তার ছোট ভাই মুকুল মাদকদ্রব্য সেবন'সহ ক্রয় বিক্রয় করতো, বিভিন্ন ব্যক্তি এবং এনজি হতে ঋণ গ্রহণ সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল। মুকুলের কার্যকলাপে তার বড় ভাই সোহেল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়।

আসামি সোহেল আশঙ্কা করে যে, তার ভাইয়ের ঋণের কারণে তাদের পৈতৃক বাড়িঘর এবং জমিজমা সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া সোহেল বিদেশে অবস্থান করাকালে ছোট ভাই মুকুল তার স্ত্রীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয় এবং যৌন হয়রানি করে। দেশে চলে আসার পরেও সে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করে। মুকুলের এই ধরনের অপকর্ম সহ্য করতে না পেরে সোহেল অতিষ্ঠ হয়ে তাকে দুনিয়া থেকে  সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই লক্ষ্যে সোহেল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্ত্রী পরেশ চন্দ্র শীল নাজমুল হোসেন কে সাথে নিয়ে এই খুন করার পরিকল্পনা করে।

পিবিআই বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে প্রথাগত তদন্তের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেফতার করে। অত্র মামলার খুনের ঘটনায় ও মুকুলের মৃতদেহ পুতে রাখার কাজে ব্যবহৃত কোদাল কালিহাতী থানাধীন পারখী সাকিনস্থ আব্দুল লতিফ ও বুচার বাড়ীর পশ্চিম পাশে তার পুকুর হতে এবং মুকুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন  কালিহাতী টু বড় চাওনা পাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে রফিক মাস্টারের ডোবা জমি হতে উদ্ধার করা হয়। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo