কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে খ্যাত কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসন। দীর্ঘদিন পর গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি উদ্ধার করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা। তিনি নৌকা প্রতীকে ৫৪,৪৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আককাছ আলী সরকার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪,৩৬০ ভোট।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ৫৭০ এবং নারী এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৯১জন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬,৭৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ পেতে হবে। সে হিসেবে এ আসন থেকে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জামানত হারিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির আব্দুস সোবহান (লাঙল) প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ২৭৭, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল বাতেন (সোনালী আঁশ) ১২৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোসাদ্দেকুল আলম (আম) ৮৭, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান (গামছা) ২২২, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অ্যাড. সাফিউর রহমান (নোঙ্গর) প্রতীকে পেয়েছেন ২৬০ ভোট। এদিকে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান ৮১ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট। এ আসনে মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪ বৈধ ভোট কাস্ট হয়েছে। প্রার্থীদের জামানত ফিরে পেতে ১৪ হাজার ৭৫১ ভোট প্রয়োজন ছিল। কোনো প্রার্থী সে পরিমাণ ভোট পাননি। ফলে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
বাজেয়াপ্তরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে একেএম সাইফুর রহমান পেয়েছেন ১২ হাজার ২৮১ ভোট, ঢেকি প্রতীকে ডা. ফারুকুল ইসলাম পান ৭ হাজার ৮১৯ ভোট, শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ ভোট, শাহ্ মো. নুর-ই-শাহী কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭১ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে আতিকুর রহমান খান পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ২০১ ভোট, মাসুম ইকবাল কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮ ভোট, জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) রুহুল আমিন বাই সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসে আব্দুল হামিদ ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৭০ ভোট।
মন্তব্য ( ০)