• উদ্যোক্তা খবর

তেঁতুলিয়ায় পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী সাইফুল  

  • উদ্যোক্তা খবর
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৭:২৩:৫১

ছবিঃ সিএনআই

তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ আত্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ও বেকারত্ব দুর করতে নিজের যোগ্যতায় পোল্ট্রি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন সাইফুল ইসলাম নামের তরুণ উদ্যোক্তা। ২০১০ সালে মাত্র হাতে ৭০ টাকা আর এনজিও থেকে নিয়ে অল্প কিছু ব্রয়লার মুরগী নিয়ে শুরু করেন ফার্মের কার্যক্রম। দীর্ঘ ১১ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে তার ৩টি খামারে কোটি টাকার মুরগী রয়েছে।

তরুণ এ উদ্যোক্তা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের দক্ষিণ বোয়ালমারীর মফিজুল ইসলামের পুত্র। নিজের ফার্ম করার আগে ৮ বছর চাকরি করেছেন প্যারাগন পোল্ট্রি ফার্ম, রংপুর পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি, প্রপিটা হ্যাচারি, ফিনিক্স হ্যাচারী, ত্রিশালের কৃষি খামার লিমিটেডসহ ১৬ টি ফার্মে। চাকরি করে তেমন টাকা জমাতে পারেননি। কিন্তু পোল্ট্রি ফার্মে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এলাকায় এসে গড়ে তুলেন উর্মী পোল্ট্রি ফার্ম। কাজের অভিজ্ঞতা, সততা ধর্য্য ও কঠোর পরিশ্রমের নিজ কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হওয়ার উদাহরন সৃষ্টি করেছেন এ তরুণ।

সোমবার দুপুরে দক্ষিণ বোয়ালমারী সাইফুলের উর্মী পোল্ট্রি ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দুই একর জমিতে ৩টি ফার্ম গড়ে তুলেছেন এ উদ্যোক্তা। শেভার ব্রাউন জাতের ৯ হাজারের বেশি মুরগী রয়েছে তিনটি ফার্মে। তার মধ্যে ১ হাজার মুরগী প্রায় ১ হাজার ২শ ডিম দিচ্ছে। এতে প্রতিদিন ডিম বাবদ হাতে আসছে ৮ হাজার টাকার মতো। আরো ৮ হাজার একই জাতের মুরগী ফার্মে নিয়ে আসছেন তিনি। সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ২০১০ সালে ব্রয়লার দিয়ে শুরু করি পোল্ট্রি ফার্ম। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্রয়লার দিয়ে চালাই ফার্ম।

গত বছর ব্রয়লার বাদ দিয়ে ডিমের জন্য শেভার ব্রাউন নিয়ে আসি। তিনটি খামার পরিচালনা করতে আমরা স্বামী-স্ত্রী, তিনজন শ্রমিক রাখা হয়েছে। তাদের মাসিক বেতন দিতে হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তার সাথে ফার্মের মুরগীর খাবার ও ঔষুধসহ খরচ হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এখন আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। আগামী রমজানে মুরগীগুলো ডিম দিলে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতে আসবে বলে আশা করছেন এ উদ্যোক্তা।

কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সাইফুল ইসলাম আজ স্বাবলম্বী জেনে খুব ভালো লাগছে। প্রথম দিকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হতে তাকে ঋণ দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। তখন তার প্রায় দুই হাজার লেয়ার মুরগী। খামারে খাঁচা, খাদ্য আর ওষুধ- লেয়ার মুরগী পালন করতে গেলে এই তিনটি বেশি বিনিয়োগ দাবী করে। পরীক্ষা মূলক ভাবে ডোজ কমিয়ে একটা ছোট অঙ্কের ঋণ দিলাম। সাইফুলের লেনদেন ভালো হওয়ায় ব্যবসার পরিসর বেড়ে গেলে ঋণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে নিয়ে বেশ এগিয়েছি। এখন প্রজেক্ট বড় করতে বড় অংকের ঋণ প্রয়োজন, তা ঋণ পাচ্ছি না। কোন এনজিও সংস্থা ও সরকারীভাবে ঋণ সহায়তা পেলে খামার বাড়াবো। সাইফুলের স্বাবলম্বী হওয়া দেখে উদ্যোগী মনোভাব তৈরি হচ্ছে ওই এলাকার কিছু শিক্ষিত তরুণদের। তারাও পোল্ট্রি ফার্ম করে স্বাবলম্বী হতে চান।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo