ছবিঃ সিএনআই
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম কর্ণেল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মনিরুজ্জামান মনির (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর ও ১০টি সাদা চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গেইটপাড় এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মনোয়ার ইসলাম কর্ণেল (৫২), বেলটিয়া এলাকার মইন লসকরের ছেলে শাকিল লসকর (৩৫), গেইটপাড় এলাকার রমজানের ছেলে সাজ্জাদ (৩০) ও পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকার মৃত সামছুল হক খানের ছেলে মিলন খান (৫৫)।
লিখিত বক্তব্যে সদর পৌরসভার বামুনপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলী মন্ডলের ছেলে ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, কিছুদিন ধরে মনোয়ার হোসেন কর্ণেল ও তাঁর সঙ্গীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মনোমালিন্য চলছিল। তারা শত্রুতা করে আমাকে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৬ নভেম্বর রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনদফায় আমাকে মারধর করা হয়।
তিনি জানান, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামালপুর পৌরসভাধীন পশ্চিম ফুলবাড়িয়া হতে আমাকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে গেইটপাড় এলাকায় এক কাচি বিরিয়ানীর দোকানের ভেতর নিয়া যান। মনোয়ার ইসলাম কর্ণেলের হুকুমে তার সঙ্গীরা আমার মুখ, চোখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারিভাবে কিল-ঘুষিসহ মারধর করেন। মারধরের পর তারা আমাকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকে নিয়ে যান। ওই ব্যাংকে আমার নামীয় একটি হিসাব খুলিয়া ১০ পাতার একটি চেক বই সংগ্রহ করেন। যাহার হিসাব নম্বর: ০২** ২২০৫৯। পরবর্তীতে মনোয়ার ইসলাম কর্ণেল তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে এবং শাকিল লসকর তার হাতে থাকা সাইকেলের চেইন দিয়ে মৃত্যুভয় দেখিয়ে ১০টি সাদা চেকে জোর করে আমার স্বাক্ষর নেন।
তিনি আরও জানান, স্বাক্ষর নেওয়ার পর আমাকে ও আমার ছেলেকে গেইটপাড় এলাকায় পূরবী পেট্রোল পাম্পের পিছনে গাড়ি পার্কিংয়ে স্থানে নিয়া যান। সেখানে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোর করে একশত টাকা মূল্যেমানের অলিখিত নন জুডিসিয়াল ৯টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। তারা আমাকে ছেড়ে দিলে আমি অপরিচিত ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা যোগে আহতাবস্থায় জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি।
তিনি ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, জোর করে চেকে ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তারা আমার অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারেন। এছাড়া তাঁদের প্রাণনাশের হুমকিতে আমিসহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা মনোয়ার হোসেন কর্ণেল বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। শুনেছি সাংবাদিক সম্মেলনে আমাকে জড়িয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম চিল্লাচিল্লি শুনে বেরিয়েছি। পরে শুনি জমি অধিগ্রহণের টাকা তুলে দেয়ার কথা বলে মনির টাকা নিয়েছে। যাদের কাছে টাকা নিয়েছে তাই তাকে মেরেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সঙ্ঘঠিত ...
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ট্রাক প্রতী...
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের গলার কাঁটা রেলগেটের উচু-নিচু রেলের রাস্তায়...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে খেলতে গিয়ে পানিতে ড...
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সদরপুরে সরকার অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔ...

মন্তব্য (০)