নিউজ ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ২১ জন বিচারপতির শপথ গ্রহণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শপথ গ্রহণ করা বিচারপতিদের পরিবারের সদস্য, সিনিয়র এডভোকেট ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিষ্ট্রির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২২ জনের মধ্যে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন চিকিৎসাধীন থাকায় আজ তিনি শপথ গ্রহণ করতে পারেননি।
রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এর বিচার শাখা-৪ হতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গতকাল জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, শপথ গ্রহণের দিন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর করা হবে। স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২ জন হলেন— বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথিকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, গত বছর ৯ অক্টোবর এ ২২ জনসহ মোট ২৩ জন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
পরবর্তীতে গত ২১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারী হয় এবং এই অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়।
গত ২১ জানুয়ারি হতে কার্যকর হওয়া এই অধ্যাদেশের অধীনে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল এ অধ্যাদেশের ৮ ধারা অনুসরণপূর্বক এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করে।
এ ধারায় অধ্যাদেশটির ধারা ৬ (২) এর বিধান আবশ্যিকভাবে অনুসরণের বিধান রয়েছে। এ ধারায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সুপারিশকৃত ব্যক্তির বয়স কোনোক্রমেই ৪৫ এর কম হবে না মর্মে বিধান রয়েছে।
ফলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বাধ্যবাধকতার কারণে গত বছরের ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করা অপর বিচারক বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নাম সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আজকের প্রজ্ঞাপনে নেই। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বয়স ৪৫ হওয়া সাপেক্ষে কাউন্সিল সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে সুপারিশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মন্তব্য (০)