• শিক্ষা

গোপালপুরে চার শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ সাফল্য

  • শিক্ষা

ছবিঃ সিএনআই

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় গোপালপুর সরকারি কলেজের তিন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তারা হলেন— আলমনগর ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন ও ফরিদা বেগম দম্পতির ছেলে শেখ ফরিদ, পৌর শহরের সুতী পটলপাড়া এলাকার ফজলুর রহমান ও আছমা খাতুন দম্পতির কন্যা ফারজানা রহমান চৈতি, এবং হাদিরা ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ও আমিনা বেগম দম্পতির কন্যা মোছা. নাহিদা খাতুন।

এছাড়াও, খন্দকার আসাদুজ্জামান একাডেমী থেকে কারিগরি শাখায় তাসকিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। তিনি গোপালপুরের রেজাউল ইসলাম তালুকদার ও আমিনা পারভীন পারুলের কন্যা।

শেখ ফরিদ জানান, তিনি আলমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে ৪.৮৯ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। কৃষক বাবার আর্থিক কষ্টের মধ্যেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। সামান্য জমি বন্ধক রেখে বাবাই তাঁর পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। এবার এইচএসসিতে উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫.০০ পয়েন্ট পেয়ে তিনি ভবিষ্যতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

ফারজানা রহমান চৈতি বলেন, বাবা ঢাকায় একটি সরকারি দপ্তরে চাকরি করেন। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই আমি সর্বোচ্চ ফল করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

মোছা. নাহিদা খাতুন জানান, তিনি ভেঙ্গুলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে ৪.৮৯ পেয়েছিলেন। দূরবর্তী এলাকা থেকে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন কলেজে আসতেন। তাঁর বাবা পেশায় পিকআপ চালক। বাবার স্বপ্ন, মেয়েটি ডাক্তার হোক। সেই স্বপ্ন পূরণে তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

গোপালপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আহসান হাবীব বলেন, গোপালপুরের শিক্ষার্থীরা যদি আরও নিয়মিত ক্লাস করত, তাহলে ফলাফল আরও ভালো হতো। এবার কিছুটা ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে, তবে আগামীতে আমরা আরও ভালো ফলাফল করতে চেষ্টা করছি।

এদিকে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এই সাফল্যে খুশি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।






 

মন্তব্য (০)





  • company_logo