
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : অন্যান্য বছরের তুলনায় আগামী বছর হজের খরচ কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামী মাস আগস্টের শুরুতেই ২০২৬ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, সৌদি আরব সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছর হজের কার্যক্রম আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হজের এত আগে নিবন্ধন সম্পন্ন করে প্যাকেজের টাকা সৌদি প্রান্তে পাঠানো বড় চ্যালেঞ্জ। রয়েছে অন্য কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের চাপ। তাই আগামী হজ সামনে রেখে প্যাকেজ ঘোষণা করাই এখন সরকারের বড় কাজ।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তারা এখন সৌদি প্রান্তের খরচ ও দেশে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের অপেক্ষা করছেন। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
জানা যায়, এরই মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সৌদি সরকার আগামি হজের কোটা জানিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। যদিও গত দুই হজে কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চললেও রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা নিয়ে হজের নিবন্ধন শেষ করতে হবে। সেবা প্যাকেজের প্রয়োজনীয় অর্থ সৌদিতে পাঠাতে হবে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে সেবা গ্রহণের চূড়ান্ত চুক্তি করতে হবে। একই সঙ্গে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি বা হোটেল এবং পরিবহন চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি সই হবে ৯ নভেম্বর। রোডম্যাপের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যে কোনো কাজ সম্পন্ন না হলে, হজ পালন অনিশ্চিত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
সংশ্লিষ্ট ধর্মমন্ত্রণায়ের কর্মকর্তারা জানান, হজ হচ্ছে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বিষয়। তারা রোডম্যাপ দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা হাবের সঙ্গে বসেছি। এ ব্যপারে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক সমকালকে বলেন,‘আমরা চাই হজের খরচ কম হোক, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওই প্রান্তের ও আমাদের প্রান্তের খরচ যদি কমাতে পারি তাহলে খরচ কমবে।’
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সে...
নিউজ ডেস্কঃ ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থা...
নিউজ ডেস্কঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অবস্থিত ইংরেজ নীলকর রবার্ট...
বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বব...
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :জমিদার নেই কিন্তু রয়ে গেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উ...
মন্তব্য (০)