
ছবিঃ সিএনআই
নওগাঁ প্রতিনিধি: দেশে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হওয়ায় সরকার এই গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। এই গাছগুলো মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে যা মাটির আর্দ্রতা কমিয়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এমন সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এখনো দেদারছে নওগাঁর ১১টি উপজেলার বিভিন্ন খোলা বাজার ও হাটে বিক্রি হচ্ছে এই গাছগুলো। এছাড়া বর্তমানে বর্ষা মৌসুম চলার কারণে এই সব গাছগুলো রোপনও অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পরবর্তি নিদের্শনা না থাকায় এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সম্প্রতি সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক সারা দেশেই নার্সারীগুলোতে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা ধ্বংস করেছে কৃষি বিভাগ। তারই ধারাবাকিতায় নওগাঁর ১১টি উপজেলায় কৃষি পূর্নবাসন সহায়তা খাতে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদনকারী বেসরকারি/ব্যক্তি মালিকানা নার্সারী মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ পূর্নবাসন কর্মসূচির আওতায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা কেটে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু খোলা বাজারগুলোতে প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সঠিক পর্যবেক্ষণ না থাকার কারণে নওগাঁর হাট ও বাজারগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এই ক্ষতিকর গাছগুলো।
জেলার রাণীনগর উপজেলার বৃহত্তম হাট আবাদপুকুরে গিয়ে দেখা যায় বিক্রি হচ্ছে ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছের বড় বড় চারা। হাটে আসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নার্সারী মালিকরা জানান সরকারের ঘোষণার অনেক আগে থেকেই তারা নার্সারীগুলোতে হাজার হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা বড় করেছে। উপজেলার সকল নার্সারী মালিকরা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পাননি। তাই সেই চারাগুলো বিক্রি না করলে তারা অনেক লোকসানে পড়ে যাবেন। যার কারণে তারা বাধ্য হয়েই ইউক্যালিপটাস গাছের চারা বিক্রি করছেন।
আবাদুপুকর হাটে গাছের চারা কিনতে আসা উপজেলার শিয়লা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই এই গাছগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। আর এই গাছগুলো কোন প্রকারের যত্ন ছাড়াই দ্রুত বড় হয় বলে গাছগুলো বেশি রোপন করা হয়। যদি দেশের সকল নার্সারী মালিকদের আর্থিক প্রণোদনার আওতায় আনা হয়, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই গাছগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের সচেতন করা হয় এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারী অব্যাহত রাখা হয় তাহলে সরকারের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে দ্রুতই আলোর মুখ দেখবে বলে তিনি মনে করেন।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: মোস্তাকিমা খাতুন বলেন সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক উপজেলার চারজন নার্সারী মালিকদের আর্থিক প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু হাটগুলোতে বিক্রি হওয়া ইউক্যালিপটাস গাছের চারা সম্পর্কে কোন নিদের্শনা তাদের কাছে আসেনি। এই বিষয়ে পরবর্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে যে নিদের্শনা পাবেন তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানাধীন কুঠি চন্দ্রখানা এলাকার থ...
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও...
পাবনা প্রতিনিধিঃ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাবনা-৩ আসনে স্থানীয় প...
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুরে ধর্ষককে গণপিটুনির জেরে গ্রামব...
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান কর...
মন্তব্য (০)