• বিশেষ প্রতিবেদন

রাণীনগরে গাছের চারায় অসন্তোষ শিক্ষার্থীরা

  • বিশেষ প্রতিবেদন

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পাওয়া গাছের চারায় চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। চারটি চারার মধ্যে দুইটি চারাই এতো ছোট যে সেগুলো রোপন করার পর বড় না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এমন দায়সারানো কাজে কৃষি বিভাগের গাফিলতিকেই দুষছেন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে চারা লাগানোর উপযোগি নয় এমন চারা বিতরণ করায় পুরো কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাঝে।

সম্প্রতি কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক স্কুলে এই গাছের চারা বিতরণ করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০জন শিক্ষার্থীকে কাঁঠাল, নিম, বেল ও জাম গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। চারটি চারার মধ্যে কাঁঠাল ও বেল গাছের চারা লাগানো উপযোগি হলেও নিম ও জাম গাছের চারা সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় ফিট উচ্চতার হওয়ায় সেগুলো রোপনের উপযোগি নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যদি উপজেলার নার্সারীগুলো থেকে ওই সব গাছের চারা সংগ্রহ করা হতো তাহলে সহজেই মধ্যম সাইজের মানসম্মত ভালো চারা পাওয়া সম্ভব ছিলো বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। অপরদিকে চারা বহনের জন্য ভাড়া বাবদ বরাদ্দ থাকলেও তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। দায়সারানো ভাবে এমন জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের ব্যাপক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছে সুবিধাভোগীরা।

কুজাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছের চারা পাওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফসি জানায় তারা যে গাছের চারাগুলো পেয়েছে তার মধ্যে দুইটি চারা অনেক ছোট হওয়ার কারণে রোপনের উপযোগি নয়। যদি সবগুলো চারাই মধ্যম আকারের দেয়া হতো তাহলে সেই চারাগুলো রোপনের পর বড় হওয়ার মাধ্যমে বিতরণের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হতো। তাই পরবর্তিতে এই ধরণের জনহিতকর কাজে মানসম্মত গাছের চারা বিতরণের অনুরোধ জানিয়েছে এই শিক্ষার্থী।

গাছের চারা পাওয়া উপজেলার ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব জানান কাঁঠাল ও বেল গাছের চারা একটু মানসম্মত হলেও বাকি গাছের চারাগুলো রোপন করার উপযোগি নয়। অন্তত মাগনা দিলেও তিনি ওই ছোট ছোট গাছের চারা রোপন করবেন না। আর সরকারি ভাবে প্রদান করা চারাগুলো নিশ্চয় আরো ভালো হওয়ার কথা। দায়সারানো ভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই অনুপযোগি গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। এতে করে বিতরণের যে লক্ষ্য সেটি পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।

কুজাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রাব্বেল হোসেন জানান গাছের চারা বিতরণ প্রকল্প হালাল করার জন্যই এমন লোক দেখানো গাছের চারা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চারাগুলো মানসম্মত না হওয়ার কারণে এই চারাগুলো রোপনে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনিহার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চারা বহনের জন্য ভাড়া প্রদানের কথা থাকলেও তা পাওয়া যায়নি। ভালো মানসম্মত গাছের চারা বিতরণের মাধমে যদি এমন মহৎ উদ্দ্যোগ সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে আমাদের দেশের আঙ্গিনা সবুজে ভরে উঠতো বলে মনে করেন এই প্রধান শিক্ষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: মোস্তাকিমা খাতুন মুঠোফোনে জানান জেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক নার্সারী থেকেই বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে গাছগুলো ক্রয় করা হয়েছে। তবে একই নার্সারী থেকে অনেকগুলো চারা ক্রয় করার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান। গাছ বিতরণ প্রকল্পে কোন অনিয়ম করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

মন্তব্য (০)





image

নিরাপদ সড়কে পরিণত হচ্ছে মরণফাঁদ নামক নওগাঁর শহর বাইপাস সড়ক

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হচ্ছে শহর বাইপাস সড়ক। শহরের য...

image

উলিপুরে সৌর বিদ্যুৎ নি‌য়ে বিপা‌কে দুর্গম চরাঞ্চলের বাসিন...

‎কু‌ড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ‎কুড়িগ্রামের উলিপুরে সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে প...

image

দেশে প্রথমবারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে আমের বাণি...

নওগাঁ প্রতিনিধি: উত্তরের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত জেলা নওগাঁ। নওগাঁয় উৎপাদ...

image

সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের নারীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীর চরাঞ্চলের নারীদের সফলতার দিকে ...

image

গোপালপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছের চারা

গোপালপুর প্রতিনিধিঃ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত ইউক্যালিপ...

  • company_logo