
নওগাঁ প্রতিনিধি: গত ৫আগস্টের পর দেশের সকল পৌরসভার ন্যায় নওগাঁ পৌরসভাতেও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের পর থেকে বদলে যেতে শুরু করেছে পৌর সভার দৃশ্যপট। প্রাণ ফিরেছে পৌর সভার সকল কাজে। নওগাঁ শহরের প্রাণ কেন্দ্র মুক্তির মোড়ে অবস্থিত পৌর সভার নতুন ভবনে লেগেছে আধুনিকতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের ছোঁয়া। বিশেষ করে শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন পৌর ভবনে প্রবেশের মুখের অবৈধ দখলে থাকা জরাজীর্ণ জায়গাকে উদ্ধার করে সুন্দর একটি নিরাপত্তা প্রাচীর ও দৃষ্টিনন্দন মোটরসাইকেল গ্যারেজ বর্তমানে নজর কাড়ছে সবার।
অপরদিকে দ্রুতই মেরামতের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বেহাল দশা থেকে মুক্ত হতে চলেছে পৌর সভার অভ্যন্তরীণ চলাচলের সকল জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রাস্তাগুলো। পৌর সভার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আগামী ৩টি অর্থ বছরে বৈদেশিক সহায়তায় ১শত কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পৌর প্রশাসক টিএমএ মোমিন (উপসচিব)।
তিনি আরো জানান, আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ১ম কিস্তিতে ৩০কোটি টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ হবে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজগুলো প্রথম টেন্ডারেই করা হবে। টেন্ডার কার্যক্রম ঢাকাস্থ প্রকল্প অফিস থেকেই গ্রহণ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই কার্যাদেশের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
পৌর প্রশাসক টিএমএ মোমিন (উপসচিব) জানান, প্রশাসক হিসেবে তিনি নিয়োগের পর থেকে পৌর সভাকে হয়রানি বিহীন সেবাবান্ধব করার ক্রমাগত প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং এটা অব্যাহত থাকবে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আলাদা পোষাক দিয়েছেন, পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও আলাদা আলাদা রংয়ের পোষাক দিয়েছেন, যাতে করে পৌরসভার কর্মী হিসেবে চেনা যায়। নওগাঁ পৌরসভাকে মশামুক্ত করতে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন। এ প্রোগ্রামে একযোগে সকালে সূর্য ওঠার আগেই পৌর ড্রেনগুলোতে মশার ডিম নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে এবং বিকেলে ফগার মেশিনে ধোঁয়া দেয়া হচ্ছে এবং প্রতিটা ড্রেন পরিস্কার করার পরই ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে। অর্থাৎ নওগাঁ শহরকে মশামুক্ত করার সকল প্রকার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম মশামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শহরের তাজের মোড় থেকে বিডিআর ক্যাম্প হয়ে বাইপাস সড়ক অভিমুখি, তাজের মোড় থেকে আলুপট্টি হয়ে সুলতানপুর অভিমুখি, গোস্তহাটির মোড় থেকে কালীতলা অভিমুখি, পাটালীমোড় অভিমুখি, সিও অফিস এলাকার প্রশিকা সংলগ্ন সড়কগুলোর খুবই খারাপ অবস্থা। বছরের পর বছর বড় ধরণের বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভালো ভাবে মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়তো সম্ভব হয়নি। তাই আগামী অর্থবছরের প্রথমেই এই বেহাল সড়কগুলো আধুনিকায়ন করা হবে।
তিনি বলেন একটি অঞ্চল কিংবা একটি গোষ্ঠির জীবনমানের পরিবর্তন ও উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই তিলোত্তমা শহরকে আধুনিকায়ন করতে হলে অবশ্যই শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। নওগাঁ পৌরসভাকে মডেল হিসেবে বিনির্মাণের সেই পরিকল্পনাগুলো শতভাগ বাস্তবায়নে নওগাঁ পৌর প্রশাসক বদ্ধ পরিকর। দীর্ঘদিনের সমস্যা স্বল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব না হলেও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাই তিনি নওগাঁ পৌরসভার সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন যাতে, পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল পৌর সভা হিসেবে দ্রুতই বিনির্মাণ করা সম্ভব হয়।
মন্তব্য (৩)
আজাদ
ধন্যবাদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
eta amar barir rasta joldi thik kora hok
ARPON
আজারা বড়কথা। পৌরসভার গেটে ও সামনে চাবিড়িপানের দোকান। নতুন করে আবার দোকান বসানো হচ্ছে। শিক্যাঅফিস সংলগ্ন রাস্য় ড্রেন পরিস্কার করতে এসে ওমরসানির হোটেলের সামনে ময়লা না তুলে ঘুষখেয়ে চলেগেছে। নওগা পৌরসভা ভেগানৃতির গডফাদার