
ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়েছে। নতুন চুক্তির আওতায় সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ১৪২ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে সৌদি।
মঙ্গলবার (১৫ মে) দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির আওতায় এক ডজনের বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি সৌদি আরবকে সর্বাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক সেবা প্রদান করবে। হোয়াইট হাউস এই চুক্তিকে ‘ইতিহাসের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বিক্রয় চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এই অস্ত্র চুক্তির অংশ হিসেবে এক ডজনেরও বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি সৌদি আরবকে সর্বাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক সেবা দেবে। চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য, সৌদি আরবের বিমানবাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা এবং মহাকাশ সক্ষমতা বাড়ানো।
পাশাপাশি চুক্তির আওতায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে আরও উন্নত করা হবে। সামুদ্রিক ও উপকূলীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সামরিক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থল সেনাবাহিনীকেও আরও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা হবে। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটানো হবে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি চুক্তির আওতায় মোট পাঁচটি খাত রয়েছে। সেগুলো হলো বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও মহাকাশ সক্ষমতা, আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, সমুদ্র ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থলবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়ন।
এদিন রিয়াদে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। দুই নেতা সামরিক, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও প্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন এবং একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
জানা গেছে, প্রতিরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি আরও কয়েকটি ‘রূপান্তরমূলক বিনিয়োগ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব চুক্তির মোট মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি, শক্তি ও খনিশিল্প খাতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের চুক্তি।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিমানবন্দর, বাদশা সালমান পার্ক, কিদিয়া সিটিসহ অন্যান্য প্রজেক্টের কাজ করবে।
সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি সইয়ের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী মাসগুলোতে তা বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ অভিহিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি ‘চমৎকার জায়গা’। এখানে ‘চমৎকার মানুষ’ বসবাস করেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র এবং উপসাগরীয়...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জি...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় আনুষ্ঠান...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন,...
মন্তব্য (০)