
ছবিঃ সিএনআই
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে সাদা সাদা থোকায় থোকায় ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে সজিনা গাছের ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়তে শুরু করছে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলে মোহিত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ২২ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বসত বাড়ির উঠান, রাস্তার ধারে, আনাচে কানাচে ও পতিত জমির আইলে প্রায় ২০ হাজার সজিনা গাছ আছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে কমপক্ষে ১/২ টি সজিনা গাছ রয়েছে। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছে ফলনও ভালো হয়। প্রতিবছর সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়। তবে রোপনকৃত ডালের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যায়। এ উপজেলায় সজিনার ২টি জাত রয়েছে একটি হালো সিজিনাল এবং আরেকটি বারোমাসি সজিনা। সজিনার ফুল জানুয়ারীর শেষ থেকে আসা শুরু করে। এবং বারো মাসি সজিনার গাছে বছরে কয়েক বার ফুল আসে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না।
একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে
৪ শত থেকে ৫ শত ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজিনা গাছ লাগানো হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ৫ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ডাল থেকে গাছ হয়েছে। সজিনার মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে। এ উপজেলার সব ধরনের মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। সজিনা অতি পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী এবং এটিকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। সজিনা ও তার পাতা খাওয়া বাদেও গাছের শেকড় ও ছাল ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যাপক কাজে লাগে। সজিনার ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজিনা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে। উচ্চ মূল্য পাওয়ায় অনেকে বানিজ্যিকভাবে সজিনার চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুত্রে জানান, ঠান্ডা-গরম, খরা সহিষ্ণু এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। সজিনা গাছের পাতা, ফুল, কচি
পড, বাকল, শিকড় ইত্যাদি শরীরের জন্য উপকারী। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ বছর প্রাকৃতিক বড় ধরণের দুর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়।
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাম্পের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ ...
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দেশীয় যন্ত্রাংশে সচল হয়ে আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে দিন...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরগুলোতে নিত্যপণ্য ও কৃ...
পাবনা প্রতিনিধিঃ দেশের অন্যতম বৃহৎ বড়াল নদ যেন চাটমোহর পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন...
মন্তব্য (০)