
ছবিঃ সিএনআই
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাঘ মাসের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ উপজেলার নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল সহ সকল এলাকার মানুষজন। সকাল থেকে সূর্যের দেখা না পাওয়া আর বৃষ্টির মতো করে কুয়াশা পড়ার কারণে এ উপজেলায় সব থেকে বেশি কষ্ট পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন। শীতের তীব্রতা যেন কুয়াশার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কুয়াশা ও শীতকে হার মানাতে বইছে উত্তরের হিমেল শীতল বাতাস। সব মিলিয়ে ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের পাশাপাশি শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষজন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ বের হচ্ছেনা ঘর থেকে। আর এই তীব্র শীতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। শীতের মাঝেও শত কষ্টে কাটাতে হচ্ছে দিন। শীত নিবারণে সম্বল হিসেবে খড়-কাঠে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরমের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
উপজেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৭ হাজার ৫শ কম্বল বরাদ্দ এসেছে। যার মধ্যে ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাস নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে। তীব্র শীতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের তেমন অসুবিধা না হলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষদের। শীতের মধ্যে শত কষ্ট হলেও পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে। এই তীব্র শীতে কষ্ট পেতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ সহ সব বয়সের মানুষদের।
উপজেলার গুনাইগাছ এলাকার দিনমজুর আব্দুল হামিদ, শাহালম, নরেন চন্দ্র সহ আরও অনেকে বলেন, প্রচন্ড শীত ঠান্ডায় ঘরের বাহিরে যেতে পারছিনা তবুও পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে।
কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল বশির, আশরাফুল, রিয়াজ, আলামিন ও রিফাত বলেন, আমাদের সকালে প্রাইভেট পড়া ও কলেজ যাওয়ার জন্য বাই সাইকেলে করে প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। দু’দিন ধরে কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে বাই সাইকেলে করে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। নাক দিয়ে পানি পড়ছে হাত পা বরপের মত হয়ে গেছে। তার পড়েও যেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ ফিজানুর রহমান বলেন, উপজেলায় ৭ হাজার ৫শ কম্বল বরাদ্দ এসেছে। যার মধ্যে ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় উপজেলায় অনেক কম কম্বল দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উল্ল্যেখযোগ্য বৈরি আবহাওয়া আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে দুপুরে সূর্যের দেখা নাও মেলতে পারে।
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য পুষ্টিগুন সম্পন্ন খা...
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরী পার্ক থেক...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পুলিশের নৌকার এক থ...
রংপুর ব্যুরোঃ রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সব&n...
নড়াইল প্রতিনিধিঃ "কৃষিই সমৃদ্ধি " এ পতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে নড়া...
মন্তব্য (০)