ছবিঃ সিএনআই
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উত্তঞ্চলের উন্নয়ন ও মানুষের সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসার প্রসারের জন্য জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে চালু হয় ফেরি সার্ভিস ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ফেরি চালুর সাথে এই রুটের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু কৃর্তিপক্ষের গাফলতি, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ডেজিংয়ে অনিয়ম আর লুটপাটের কারনসহ নব্যতার অযুহাতে প্রায় সময় বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল।
কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে শতশত পণ্যবাহী চালকরা গাড়ি নিয়ে পড়েন বিপাকে, অনেকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে ফিরে যেতেও বাধ্য হন। এদিকে আবারো প্রায় ১ মাস থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রামসহ উত্তঞ্চলের মানুষ সুবিধা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত আর সরকার বঞ্চিত রাজস্ব থেকে। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় দায়িত্বে থাকা স্টাফরা পার করছে অলস সময় আর বসেই গুনছে বেতন ভাতা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি চালুর পর পরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই রুট। জনপ্রিয় এই রুটে ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ফলে প্রতিদিন তিন দফায় পণ্যবাহী পরিবহনগুলো পাড়াপাড় করে ২টি ফেরি, ফেরি কদম আর কুঞ্জলতা। মাঝে মাঝে ৪ দফায়ও চালাতে হয় পণ্যবাহী গাড়ির চাপে। এই রুট রাতে ব্যবহার করতে না পাড়ায় শতশত ট্রাক অপেক্ষায় থাকে পাড়াপাড়ের জন্য। চাহিদা বাড়লেও কমেনি কর্তৃপক্ষের গাফলতি ফলে জনপ্রিয়তা হারাতে বসছে এই রুটটি। বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ কর্তৃপক্ষ নৌ-রুটটি চালু রাখতে নামে মাত্র ডেজিং বা খনন দেখালেও বারবার এই রুটে বন্ধ হয়ে পড়ছে ফেরি চলাচল। স্থানীয় মানুষজন জানান, এই ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপ নেয় আর এটিকে কাজে লাগিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ডেজিংয়ের নামে অনিয়ম আর দুর্নীতি করছে, করছে লুটপাট ফলে দুর হচ্ছেনা নাব্যতা সংকট, বন্ধ থাকছে ফেরি, সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে আর জনসাধারন বঞ্চিত সুবিধা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরাসহ নিম্ন আয়ের দোকানীরা। রমনা ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ট্রাক চালত আমিনুল ইসলাম বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পাথর নিয়ে এই রুট ব্যবহার করে সুবিধা অনেক তাই এই রুট জনপ্রিয়। কিন্তু প্রায় সময় বন্ধ থাকা ছাড়াও গত ১মাস থেকে আবারো ফেরি বন্ধ হয়ে পড়ায় রংপুর হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে ফলে খরচও বাড়ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকট এবং সময় মতো ডেজিং না হওয়ায় ২৩ ডিসেম্বর-২০২৪ ইং থেকে বন্ধ হয়ে পড়েছ ফেরি দুটি। ড্রেজিং বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) সমির চন্দ্র পাল (০১৭১৬৫০২০৭২) ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ ছাইদুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে (০১৯১৩০৪৮৭৮৬) যোগাযোগ করা হলে কেউ ফোন রিসিব করেননি।
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ ইটের তৈরি ভাঙা দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে গাজীপুর সাফারি পার্ক...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাঘ ম...
পাবনা প্রতিনিধিঃ মাঝারী আকৃতির একটা চুম্বকের সাথে রশি বাঁধা। চুম্বকটি পথে ফেলে রশির অপর প্রান্...
নওগাঁ প্রতিনিধি: “খেলাধুলাকে হ্যাঁ বলি, মাদককে না বলি” এই প্রতিপা...
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ে দেশীয় সংস্কৃতির উজ্জ্বীবন ও প্রসারে ব...
মন্তব্য (০)