ছবিঃ সিএনআই
নওগাঁ প্রতিনিধি: “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে পুরো দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫। এই উৎসবের অন্যতম একটি কর্মসূচি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে আন্ত: স্কুল ও আন্ত: কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শেষে মঙ্গলবার (২১জানুয়ারী) পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে “জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোঁয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ” এই বিষয়ের উপর স্কুল পর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি খন্ডন শেষে বিচারকগনের রায়ে বিজয়ী হয় সাপাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আর রানার-আপ হয় নওগাঁ জিলা স্কুল।
আর কলেজ পর্যায়ে “ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতা-ই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ” বিষয়ের উপর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি খন্ডন শেষে বিচারকগনের রায়ে বিজয়ী হয় নওগাঁ উপজেলা দল আর রানার-আপ হয় পত্নীতলা উপজেলা দল। বিতর্ক প্রতিযোগীতায় জেলার ১১টি উপজেলা ও নওগাঁ পৌরসভাসহ মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করে।
চ’ড়ান্ত পর্বের বিতর্ক শেষে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার-আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগন, বিচারকগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বিতর্ক প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিতর্কের মাধ্যমেই একজন মেধাবী শিক্ষার্থী নিজেকে সুবক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিতর্ক করলে নিজের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন বই পড়তে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। বিতর্কের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পরিধির বিস্তার লাভ ঘটে। তাই শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আর শুধু সরকারি ভাবেই নয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই ধরণের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন। এছাড়া নিজের সন্তানকে একজন মেধাবী ও বই পড়ুয়া হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। তাই আগামীতেও এই ধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ: শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ব্রোকল...
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)...
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃব...
পবিপ্রবি প্রতিনিধি: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উ...
জাককানইবি প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভ...
মন্তব্য (০)