ছবিঃ সিএনআই
দিনাজপুর প্রতিনিধি: পূজা অর্চনা ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিনাজপুর আদিবাসী সাওতাল সম্প্রদায়ের লোকেরা পালন করেছে দিশম সহরায় উৎসব। মারাং গুরু ( মহাদেব শীব) কে উদ্দেশ্য করে নানান ধর্মীয় রীতিনীতিতে পূজা অর্চনায় দিনাজপুর সদরের ফার্মাহাট সংলগ্ন খোসালপুর সরকারি স্কুল মাঠসহ বিভিন্ন আদিবাসী পাড়া মহল্লায় চলে সপ্তাহব্যাপি ওই উৎসব। এতে সনাতনী ৩৬ জাতির মধ্যে সাওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিস্কু, মুর্ম্মু, হেম্রম এবং হাঁসদাসহ ১২টি গোত্রের লোকেরা অংশ নেন। ভরিভোজ ঢাকঢোল বাদ্য বাজনা নাচগানে মেতে উৎসব পালন করে তারা। সৃষ্টিকর্তার সন্তুুটির জন্য প্রতি বছরের পৌষ মাসের শেষ সংক্রান্তিতে সহরায় উৎসবে আনন্দ উল্লাসে মাতে তারা।
আদিযুগের ধারাবাহিকতায় সহরায় উৎসব তাদের কাছে পবিত্র ধর্মীয় চেতনার অংশ। মিশনারী টোপে পড়ে যারা এখনো খ্রীষ্ট ধর্মে ধমান্তরিত হননি তারাই নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি সামাজিকতায় পালন করে থাকে সহরায় উৎসব।
উৎসবের সূচনায় ধুপ সিদুরসহ বিভিন্ন উপকরনে প্রার্থনা জানানো হয় সৃষ্টিকর্তা (মহাদেব শীবের) মারাং গুরুকে উদ্দেশ্য করে পূজা অর্চনায়। সনাতনী রীতিতে কুম্ভরানী সাওতালী ভাষায় জাহের এরা ( গৃহ পালিত মোরগ বলী দেন তারা। একত্রে অংশ নেয় ১২টি গোত্রের মহল্লা (মাতব্বর) মাঝি হাড়ামরা। পুরোহিতের কাজটিও নিজেরাই সারে তারা।
আদিবাসী সাওতাল সম্প্রদায়ের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ঐতিহ্য রক্ষার পরামর্শ এবং তাগিদ গবেষক লেখকের।লেখক গবেষক, ড. মাসুদুল হক বলেন, আধুনিকতার ছোয়া সময়ের পরিবর্তনে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে সমতল ভূমির আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি। অক্ষরগত জটিলতা এবং সঠিক পাঠদানের অভাবে ভাষাও বদলে যাচ্ছে তাদের। সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতি রক্ষা পাক, এমনটাই চাইছেন তারা।
মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর শিবচরে ফজিলাতুন্নেছা (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নারীর...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তারুণ...
বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোলে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে হত্যার শিকার...
গাজীপুর প্রতিনিধি: "এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই" নতুন বাংলাদেশ গড়ার...
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ কা...
মন্তব্য (২)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ধর্মের নাম হলো >সারি ধরম>আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায় কেন ১০ই জানুয়ারি হইতে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত সহরায় উৎসব উদযাপন করেন নিম্নে তুলে ধরা হলো, {১} প্রথম দিনের,গটসিম বঙ্গা/পূজা করা হয় আমাদের পৃথিবীর আকৃতি শুন সেই শুন রেখা তৈরী করে প্রথম শুন খায় একটি ডিম বলানো হয় ২য় শুন খায় সিং বঙ্গা, ৩য় শুন রেখায় ধরম,{৪} মঁড়েকো তুরুয়কো {৫} জাহের আয়ো{৬} গোষাড়ে এর পরে গ্রামে প্রতিটি পরিবারের নামে শুন রেখা তৈরী করা হয়,সেই শুন রেখায় বিভিন্ন ফলমূল ও একটি করে মুরগি বঙ্গা/দেবতার মাধ্যমে সৃষ্টিকতার নামে উদসরগ করে সৃষ্টিকতার কাছে পুরনো বছরের পাবপূর্ণের খমা প্রার্থনা করা হয় সেই সাথে প্রাণী কুল ও বিশ্ব বাসীর শান্তি কামনা করা হয় রাতে গরু মহিষ কে পেট ভরে খাইয়ে গরু মহিষের সিং এ সরিষার তৈল দেয়া হয় ।২য় দিন বঙ্গা মাহা প্রতিটি বাড়ীতে নানান ধরনের পিঠা পূলি তৈরী করে অড়াঃ বঙ্গা/গৃহ দেবতার নামে বাড়ী বাড়ী বঙ্গা করা হয়/গৃহ দেবতার নামে উদসরগ করা হয় এবং আত্মীয় স্বজন মিলে খাওয়া দাওয়া করা হয় ।৩য় দিন খুন্টাও মাহা এই দিন এক বাড়ী আর এক বাড়ীর সাথে খাবার ভাগা ভাগী করে এবং গরু মহিষ কে খুশি করানো হয় ।{৪} দিন জালে মাহা এই দিন প্রতিটি বাড়ী থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করা হয় এবং দিন শেষে গ্রামের সকলেই মিলে খাওয়া দাওয়া করা হয় ।{৫} দিন সাকরাৎ মাহা এই দিন গ্রামের সকলেই মিলে মাছ মাংস সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়েন ,মাছ মাংস সংগ্রহের পর বিকেল বেলা তীর নিখেফ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।অনেকেই মনে করেন সাঁওতালরা পুষ সংক্রান্তি মানেন পুষ সংক্রান্তি হলো হিন্দু সনাতনীদের পুষ সংক্রান্তির সাথে সাঁওতালদের সহরায় উৎসবের কনো সম্পক নেই ।সাঁওতালী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পুষমাস হলো বছরের শেষ দিন,১লা মাঘ সাঁওতালী নববর্ষ সকলকে সাঁওতালী নববর্ষের শুভেচ্ছা, জহার গঁসায় মারাংবুরু ।
মনিরাজ হেমরম
শিব মহাদেব সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বঙ্গা/দেবতা কোন দিন ছিলেন না এবং বর্তমানেও নেই, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ভাষায় ইষ্টদেবতাকে বঙ্গা বলে থাকেন, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বঙ্গা/দেবতার নাম নিম্নে দেয়া হলো,{১}সৃষ্টিকতা হলেন ঠাকুর জিউ {২} ঠাকরান {৩} মারাংবুরু হলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পর্থপ্রদর্শক {৪} জাহের আয়ো {৫} ধরম {৬} মঁড়েকো তুরুয়কো এগুলো হচ্ছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মূল বঙ্গা/দেবতা এক কথায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ২২ টি বঙ্গা/দেবতা আছে, সাঁওতাল সম্প্রদায় হলো পাকৃতি পূজারী,জহার গঁসায় মারাংবুরু ।