• বিশেষ প্রতিবেদন

চাটমোহরে খরা মৌসুমে ভরসা কেবল বাঁশের সাঁকো

  • বিশেষ প্রতিবেদন

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ বৃটিশ আমল, পাকিস্তানী আমল, বাংলাদেশ আমলেরও প্রায় তেপ্পান্ন বছর কেটে গেল তবুও সেতু হলোনা পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে  প্রবাহিত মরা করতোয় নদীর উপর বহরমপুর-মির্জাপুর সেতু। ফলে এ নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের প্রায় দশ-পনেরোটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শত শত বছর যাবত। বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় এবং বাকি চারমাস বাঁশের সাঁকোতে অতি কষ্টে পাড়াপার হতে হচ্ছে নদী। বহরমপুর ও বেলগাছি এ দুটি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দুটি উন্নয়ন বঞ্চিতও হচ্ছে দীর্ঘ বছর যাবত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর পশ্চিম পাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ আরো বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্ব পাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজ, উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নিমাইচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট। এছাড়া আরো বেশ কিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্ব পাড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাড়ের মানুষকে পূর্ব পাড়ে এবং পূর্ব পাড়ের মানুষকে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পাড়াপারে দশ-বারোটি  গ্রামের অন্তত চল্লিশ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা রাখতে হচ্ছে।

বহরমপুর গ্রামের এহিয়া আলী জানান, বর্ষা কালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদী পাড়ে বসে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এসময় সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হতে হয় তাদের। অসুস্থ্য রোগি, সন্তান সম্ভবা মাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। শিশু, বৃদ্ধরা ও বিড়ম্বনার শিকার হন নদী পাড়াপারের সময়।

গৌড়নগর গ্রামের মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর উপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রীজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ভুমি অফিস, মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজ, মির্জাপুর হাটসহ ইউনিয়ন সদরে যাতায়াত করতে ব্রীজের অভাবে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জনদূর্ভোগ কমাতে, এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এলাকাবাসী দ্রুত বহরম-মির্জাপুর সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।   

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উর্ধতন দপ্তরে আটটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনও সমীক্ষা, যাঁচাই বাছাই হয়নি। আশা করছি আগামিতে জনগুরত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেতু নির্মিত হবে।

মন্তব্য (০)





image

কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আ...

image

ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্ত পথে ছাতা মেরামতের কারিগর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁয়ে ছাতার ব্যবহার এক দিনেই হয়ে উঠেনি। মানব সৃষ্টি...

image

অসময়ে বন্যা, কপালে চিন্তার ভাঁজ চরাঞ্চলের পাটচাষিদের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষে জেগে...

image

অবশেষে মেরামত হচ্ছে নওগাঁ পৌরসভার বেহাল সড়কগুলো

নওগাঁ প্রতিনিধি: গত ৫আগস্টের পর দেশের সকল পৌরসভার ন্যায় নওগাঁ পৌরসভাতেও জেলা ...

image

উলিপুরে তিস্তার তীরে বাদামের হাট, ক্রেতা না থাকায় চিন্তিত...

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার তীরে অস্থায়ী কাঁচা বাদা...

  • company_logo