ছবিঃ সিএনআই
রংপুর ব্যুরোঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকে যাওয়ার পথে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় শোকের মাতম নিহত মুবতাসিন রহমানের (মাহিন(২২))পরিবার।তাঁর বাবা ইমতিয়াজুর রহমান মরদেহ নিয়ে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরলেন।বাবা কাদে ছেলের লাশ।আর দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নাজমুন্নাহার। মুবতাসিনের বাড়ি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ায়।
গত শনিবার সকালে শ্রীপুরে পিকনিকের দ্বিতল বাসে প্রথম বিদ্যুতায়িত হন মাহিন।বন্ধুকে ছটফট করতে দেখে ছুটে যান জোবায়ের আলম (সাকিব)।পরে দুজনেই মারা যান।দুর্ঘটনায় তাঁদের আরেক বন্ধু মীর মোজাম্মেল নাঈমও (২৩)মারা যান। তাঁরা সবাই গাজীপুরের আইইউটির মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সকালে তার বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে কথা হয়।তবে স্থানীয় ও এলাকাবাসি সবাই শোকার্ত।¯স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,মাহিনের বাবা এবি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক।দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিন বড়।মা-বাবা ও পরিবারের খুব আদরের ছেলে মাহিন।আইইউটি ইউনিভার্সিটিতে ক্যারিয়ার অ্যান্ড বিজনেস সোসাইটিতে শেষ বর্ষের শিক্ষাথী।মধ্যরাতে মাহিনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালেই এলাকায় পরে যায় কান্নার রোল।পরিবার ও স্থানীয়রা মাহিনের মৃত্য মানতে পারছেন না।
মা গৃহিণী।মাহিনের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া একটা ছোট ভাই আছে।মাহিন প্রথম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেছেন।বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মারা যাওয়া মুবতাসিন রহমানের বাড়িতে ¯স্থানীয় ও স্বজনদের ভিড়।
মাহিনের চাচা হাসানুর রহমান (৪৮) অভিযোগ করেন,এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকান্ড। তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় বিদ্যুতের তার ঝুলে আছে। কিন্তু পিডিবির কেউ জানে না। এটা কেউ বিশ্বাস করবে? আমরা সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছি। তাঁকে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে কেন? এত বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের যারা নিয়ে যাচ্ছিল, তাদের দেখা দরকার ছিল তার ঝুলে ছিল। মানুষের অবহেলায় প্রাণ ঝরে গেছে।
এখানে শতভাগ একটা অবহেলা ছিল, দায়িত্বে ছিল যারা।একটা তার ঝুলে পড়বে গায়ের মধ্যে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।এর সুষ্টু তদন্ত চাই,কার অবহেলার কারণে আমাদের সন্তানকে হারাতে হলো, এমন ঘটনা ঘটল।
প্রতিবেশিরা তাঁর মৃত্যুর খবর নিয়ে যা বললেন।মাহিনের মৃত্যুর খররে এই এলাকায় আকাশ বাতা ভারি হয়ে যায়।দুইটার সময় জুম্মাপাড়া জামিয়াতুল করীমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রসায় মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্টিত।তার নামাজের জানাযায় হাজার হাজার এলাকার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
পাবনা প্রতিনিধিঃ আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পাবনার চাটমোহরে আদিবাসী পল্লিতে অ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ...
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সদর উপজেলায় অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে তার সন্তানেরা বৃদ্...
নওগাঁ প্রতিনিধি: ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫আগষ্টে স্বৈরাচার সরকারের ...
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ চুল ও দাড়ি কেটে মানুষকে আকর্ষনীয় সুন্দর করাই যাদের...
মন্তব্য (০)