• শিক্ষা

৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশ খুব শিগগির, পদ সাড়ে ৩ হাজারের বেশি

  • শিক্ষা
  • ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:০১:৩৫

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে দ্রুত সুপারিশ পেতে যাচ্ছেন চাকরির অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা। শিগগির তাদের পদ বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রার্থীরা পছন্দের পদ নির্বাচনের পর তার যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের শূন্য পদের সংখ্যা জানতে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। দুই দফা সময় নিয়েও এখনো মন্ত্রণালয় শূন্য পদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে পারেনি। তবে এখন পর্যন্ত যেসব শূন্য পদের তালিকা মন্ত্রণালয় পেয়েছে, তা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।

পিএসসির নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ধারণা শেষ পর্যন্ত পৌনে চার হাজার শূন্য পদের তালিকা আসতে পারে। সেগুলোতে প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জনপ্রশাসনে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। সেখানে বলা ছিল ১০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য পদের সংখ্যা যেন তারা আমাদের জানান। তারা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। এখনো (৭ নভেম্বর) পর্যন্ত আমরা নন-ক্যাডারের শূন্য পদে মন্ত্রণালয়ের কোনো লিখিত তথ্য পাইনি।’

তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মৌখিকভাবে মন্ত্রণালয়ে সবসময় আমরা যোগাযোগ রাখছি। তারা বলেছেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজার শূন্য পদের তালিকা তাদের কাছে জমা হয়েছে। আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর থেকে তথ্য আসতে পারে। সবমিলিয়ে পৌনে চার হাজারের কাছাকাছি দাঁড়াতে পারে। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয় এটা স্পষ্ট করে জানাবে।’

এদিকে, ৪১তম বিসিএসের প্রার্থীরা প্রায় ৩ বছর ১০ মাস পর চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন। গত আগস্টে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে, নন-ক্যাডারে তালিকাভুক্ত হওয়া ৯ হাজার ৮২১ প্রার্থী এখনো ঝুলে আছেন। একটি বিসিএসের জন্য তাদের চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা, করোনার সময়ে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরি প্রার্থীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকের বয়সও শেষ। ফলে ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা সর্বাধিক পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এ প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শূন্য পদ কত হবে, সেটা কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠিক করে। এখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না। প্রার্থীরা অভিযোগ করে থাকেন যে পিএসসি তাদের ঠকাচ্ছে। অথচ পিএসসি চাইলেই বেশি পদে নিয়োগে সুপারিশ করতে পারে না। জনপ্রশাসন যতগুলো পদের তালিকা দেবে, পিএসসি সেগুলোতে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থীকে সুপারিশ করবে। এটাই নিয়ম। এ নিয়ে তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকলে এমন দোষারোপ করতেন না।’

২০২১ সালের ১ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২১ হাজার ৫৬ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। একই বছরের ২৯ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার প্রার্থী।

২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০২৩ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যা অতীতের যেকোনো বিসিএস পরীক্ষার বিচারে দীর্ঘতম সময়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo