• শিক্ষা

অবরোধ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস, সরকারিতে সশরীরে

  • শিক্ষা
  • ০৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫৪:২৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর টানা অবরোধে আবার অনলাইন ক্লাসে ফিরেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সামনে আরও রাজনৈতিক কর্মসূচি আসতে পারে এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে- এমন শঙ্কায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ভার্চুয়ালি ক্লাস নিচ্ছেন তারা। তবে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে শুক্র ও শনিবারকে। এই দুদিন সাধারণত ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে না।

যদিও উল্টো চিত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পূর্বঘোষিত পরীক্ষাও নিচ্ছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে অনলাইনে ক্লাস নিতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাচ্ছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিভাগের শিক্ষক ও ব্যাচের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভদের (সিআর) মাধ্যমেও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন তথ্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আইইউবিএটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করছে অনলাইনে।

তবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে অফলাইনে। পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে শুক্র ও শনিবারকে। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্র ও শনিবার হরতাল কিংবা অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ কারণে পরীক্ষাগুলো ক্যাম্পাসে সশরীরে নেওয়া হচ্ছে।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সবার আগে দেখতে হবে। অবরোধে কেউ ক্লাসে আসতে গিয়ে হামলার শিকার হলে তখন বিষয়টি গুরুতর হয়ে যাবে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ক্লাসগুলো নেওয়া হবে অনলাইনে। তবে অফিস খোলা থাকবে।

আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী বলেন, সব ক্লাস অনলাইনে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্লাস অফলাইনেও নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবহারিক ক্লাসগুলো। কোন ক্লাস অফলাইনে আয়োজন করা হবে, সেগুলো শিক্ষকরা আগেই জানিয়ে দিচ্ছেন।

অন্যদিকে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে সশরীরে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবহনও চলাচল করছে। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ফটকে রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সুপার-গ্লু লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অচল করার চেষ্টা করেছেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তো সেশনজটে পড়ে যাবে। আমাদের তো সেদিকেও নজর রাখতে হয়। নিরাপত্তার কথাও আমরা ভাবছি। আশা করি পুলিশ প্রশাসন আমাদের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও পরিবহন চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

আজ রোববার ভোর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে অন্তত চারটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল থেকেও রাজধানীর বেশ কয়েক জায়গায় বাসে হামলা হয়েছে। বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার এলাকায় বাসে আগুনের ঘটনায় চালক দগ্ধ হয়েছেন। উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় পুলিশের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এর আগে প্রথম দফায় বিএনপির তিনদিনের অবরোধের প্রথম দিনে গত ৩১ অক্টোবর সকালে জুরাইনের গেন্ডারিয়া স্টেশন এলাকায় জবির স্বপ্নচূড়া নামে একটি বাসে হামলা চালানো হয়। বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসছিল। তারা ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে আসছিলেন। বাসে ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo