• লিড নিউজ
  • জাতীয়

শিক্ষকদের সতর্ক করলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন স্থানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সরকারি কর্মচারী বিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনের নামে যা করছেন, তা সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। আমরা অবশ্যই মনে করি যে, বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে অবস্থান নিয়েছেন, যেমন- অনেক স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে; আবার অনেক স্কুলে হয়নি, এটা একেবারেই অনভিপ্রেত একটি ঘটনা।

সি আর আবরার বলেন, এটা অন্যায়, অন্যায্য যে, তারা নবম গ্রেডে আসতে চাচ্ছেন। কারণ চাকরি যখন নিয়েছিলেন তারা জানতেন তারা দশম গ্রেডে থাকবেন। সেখান থেকে নবম গ্রেডের এই দাবি, এটা তাদের চাকরির শর্তের মধ্যে মোটেই ছিল না। সুতরাং, এই এটা একটা অন্যায্য ও অন্যায় দাবি। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে নবম গ্রেডে বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডাররা আসেন। কাজেই এটা এককভাবে তাদের সঙ্গে সমাধানের কোনো বিষয় না। এটা হচ্ছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়। এই পদে যে কেউ হুট করে চাইলেই যেতে পারে না।

‘নবম গ্রেডে যাওয়ার ক্ষেত্রে কম্পারেটিভ একটা বিষয় এখানে রয়েছে’ উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সে কারণে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দিন দুয়েক আগে তারা এই দাবি উত্থাপন করেছে। এমন সময় যখন তাদের স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। অথবা কোনো কোনো জায়গায় বার্ষিক পরীক্ষা বা টেস্ট পরীক্ষা যখন হবে, মূলত তারা যে হাতিয়ারটা ব্যবহার করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন। যেটা শিক্ষক হিসেবে চরম একটি অনৈতিক কাজ তারা করছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কাজেই আমরা তাদের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমরা তাদের বলছি যে, আপনারা আগামীকাল থেকে পরীক্ষা নেন। অন্যথায়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যে শাস্তি রয়েছে সেগুলোর জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান ব্যক্ত করছে। পরীক্ষায় কোনো রকমের আপস এখানে হবে না। পরীক্ষা আপনাদের নিতে হবে, যেন শিক্ষার্থীদের ওপরে যে চাপ এবং অভিভাবকদের ওপরেও যে চাপ সেটা যেন লাঘব হয়।

তিনি বলেন, সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সবাই জানাচ্ছেন, পরীক্ষা দিতে ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহী, অভিভাবকরা আগ্রহী। তবে একটি অংশ পরীক্ষা নিচ্ছে না। আমি বলব, শিক্ষকরা আগামীকাল তাদের স্কুলের পরীক্ষা নেবেন। অন্যথায় তারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

মন্তব্য (০)





  • company_logo