• সমগ্র বাংলা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকার, নদীপাড়ে বসেছে ‘ইলিশের হাট’

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলায় নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মানদীতে অসাধু জেলেরা দিনরাত জাল ফেলে ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। শুধু মাছ শিকারই নয়; নদীর পাড়েই অস্থায়ী হাট বসিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। পদ্মাবেষ্টিত বন্দরখোলা, মাদবরেরচর, চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ে বসেছে এ হাট। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসছেন সস্তায় ইলিশ কিনতে!

এদিকে ইলিশ শিকার বন্ধে পদ্মায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ. এম. ইবনে মিজান। তবে লোকবল কম থাকায় এবং ইলিশ শিকারিরা সংঘবদ্ধ এবং অসংখ্য লোক একত্রে থাকায় অভিযানকালে হামলারও শিকার হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

গতকাল শনিবার বিকেলে শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা পদ্মাপাড়ে একটি অস্থায়ী ইলিশের হাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ বিক্রিকে কেন্দ্র করে লোকজনের আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয়রা মুখরোচক নানা খাবার দোকানের পসরাও সাজিয়ে বসেছে।

কাজিরসূরা এলাকায় পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইলিশের অস্থায়ী হাট বসেছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই একের পর এক মাছ ধরার ট্রলার এসে ভিড়ছে ঘাটে। এরপর এই হাটে বিক্রি করছেন তারা। তবে এ সময় নদীতে মৎস্য বিভাগের কাউকে অভিযান চালাতে দেখা যায়নি। হাটে ভাগ করে পাইকারি বিক্রিকরেন এতে ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ জেলেরা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা ও ছোট ইলিশ ৩০০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।

দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও এসেছেন সস্তায় ইলিশ কিনতে। বাঁশকান্দি এলাকা থেকে মাছ কিনতে আসেন জুবায়ের রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে যে মাছের দাম, সেই মাছ এখন জেলেরা অর্ধেক দামে বিক্রি করছেন। যে কারণে এখান থেকে সস্তায় মাছ কিনতে এসেছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পদ্মাপাড়ের কাজিরসূরা, হিরাখাঁর বাজারসহ তিন-চারটি স্পটে দেদার ইলিশ বিক্রি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শিবচরের মূল ভূখণ্ড থেকে চরাঞ্চলে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর প্রবেশ দেখলেই খবর পৌঁছে যায় অস্থায়ী হাটের বিক্রেতাদের কাছে। অভিযান পরিচালনার আগেই চরাঞ্চলের কাশবনে লুকিয়ে পড়ে বিক্রেতারা। পাড়ে থাকা জেলেরাও ট্রলার নিয়ে মাঝ নদীতে সরে পড়ে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার জানান, নিষিদ্ধ সময়ে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও কেউ গোপনে জাল ফেললে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে নৌকা ও জাল জব্দ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দণ্ড ও জরিমানাও দেওয়া হচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে শতভাগ সফলতা অর্জন করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, গত ৮ দিনের অভিযানে প্রায় ৪.১৪ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৪ জন জেলেকে কারাদণ্ড ও ২৩ জন জেলেকে ২.৩৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলিশ জব্দ করা হয়েছে, যা স্থানীয় ইয়াতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে।

মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এইচ.এম. ইবনে মিজান। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তবে পদ্মাপাড়ের হাটগুলোতে আমরা বড় অভিযান চালাব। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওখানে জেলে এবং স্থানীয় বিক্রেতারা সংঘবদ্ধ এবং সংখ্যায় অনেক। আমরা লোকবল কম থাকায় নদীতে জেলেদের হামলার শিকারও হতে হচ্ছে। তবে হাটগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে শিগগির।

মন্তব্য (০)





image

শিবচরে আর্থিক স্বাক্ষরতা ও ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : মাদারীপু...

image

বাশঁখালীহতেঅপহরনকৃত শিশুউদ্ধার চন্দনাইশে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাশঁখালীউ পজেলার অপহরনকৃত শিশু চন্দনাই...

image

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজ শিক্ষার্থী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যাত্রীবাহী বা...

image

পাবনায় শুরু হচ্ছে তারেক রহমান ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট

পাবনা প্রতিনিধি : “মাদকমুক্ত দেশ গড়তে, ক্রীড়া হোক অনুপ...

image

সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি বিশ্বাসকে বিশেষ নিরাপত্তায় নড়...

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী ...

  • company_logo