
ছবিঃ সিএনআই
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট কাঁচাবাজার যেন রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ফাঁস হয়ে যায় ভয়ংকর এক খাদ্য অপরাধ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত আকস্মিক অভিযানে ধরা পড়ে বহুদিন ধরে চলা একটি মিষ্টি কারখানার নোংরামি।
অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে মিষ্টি। বারবার পুড়িয়ে কালো হয়ে যাওয়া তেল ব্যবহার করা হচ্ছে ভাজায়। সংরক্ষণ কক্ষে পড়ে আছে লেভেলবিহীন, বাসি ও দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হলো—নতুন মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল কাপড়ের রং, পঁচা ও বাসি চিনির সিরা এবং সেখানে জন্মানো পোকামাকড়!
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউএনও খোন্দকার মাহমুদুল হাসান কারখানার মালিকের প্রতিনিধি আবুল কাসেমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে কারখানার ভিতরে থাকা পোড়া তৈল, নষ্ট সিরা ও বাসি মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।
অভিযানের সময় কারখানার সামনে জড়ো হওয়া কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা বছরের পর বছর ধরে এসব মিষ্টি কিনে আমাদের বাচ্চাদের খাইয়েছি, অথচ তারা আমাদেরকে বিষ খাইয়েছে। এত ঘৃণ্যভাবে খাবার বানায় — ভাবতেই শরীর কেঁপে ওঠে!"
আরেকজন বলেন, "এমন অভিযান আরো বারবার হওয়া দরকার। শুধু একটা কারখানা না, পুরো বাজারে আরও অনেকের মিষ্টি-দোকানে এসব হয়। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে।"
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমন...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবা...
ফরিদপুর প্রতিনিধি : কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদ...
বগুড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার য...
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় মোঃ হাসানুর হক...
মন্তব্য (০)