• সমগ্র বাংলা

ঝিনাইদহ মাদকের এক অঘোষিত রাজধানী

  • সমগ্র বাংলা

ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ভারত থেকে চোরাইপথে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও কোকেন ঢুকছে প্রতিনিয়ত। শুধু শহর নয়, এখন গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকান, হাট-বাজার এমনকি স্কুল-কলেজের আশপাশেও পৌঁছে গেছে এসব নেশাদ্রব্য। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে মাদক প্রবাহ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ জেলা যেন মাদকের এক অঘোষিত রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।


ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের সড়ক পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক প্রবেশ করছে। মাদক কারবারিরা অভিনব কৌশলে মাদক পাচার করছে। কখনো খাদ্যে সামগ্রীর বস্তার ভেতরে, কখনো শাক-সবজির চালানে, আবার কখনো মোটরসাইকেলের বিশেষ গোপন চেম্বারে।

জেলা পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে মাদক সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। তবে শাস্তি পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় অন্তত চার শতাধিক মাদকের স্পট রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ স্পটই বেশি। বিকেল থেকে ওই সকল স্পটে মাদকসেবীদের মোটরসাইকেল মিছিল শুরু হয়। জমজমাট মাদকের আসর চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাত বাড়ালেই এখন পাওয়া যায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, দেশি- বিদেশি মদ ও চোলাই মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। সম্প্রতি এ সকল মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরা তা গ্রহণ করছে। এমনকি বেশি টাকা খরচ করলে হোম ডেলিভারি পাওয়া যায় মাদকের।

জেলাজুড়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মাদক সরবরাহকারী চক্রের সদস্যরা। মাঝে মধ্যে খুচরা কারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।


সূত্র জানায়, জেলা শহরের চাকলাপাড়া, মহিষাকুণ্ডু, আরাপপুর, পবহাটি, ষাটবাড়িয়া, উদয়পুর, ভুটিয়ারগাতী, হামদহ, ব্যাপারীপাড়া, কাঞ্চনপুর, পাগলাকানাই, আদর্শপাড়া, মর্ডাণ মোড়, বাইপাস মোড়, আলহেরাপাড়াসহ অন্তত ৩০টির বেশি স্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। জেলা শহরের পাশাপাশি সদর উপজেলাসহ পুরো জেলায় বেড়েই চলেছে মাদকের স্পট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে চলছে মাদকের কারবার। তারা চাইলে এগুলো বন্ধ
করতে পারে।


সুজনের জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘মাদকের থাবা থেকে ঝিনাইদহকে বাঁচাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সামাজিক প্রতিরোধ ও কঠোর আইনি প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ নেশার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। যার ক্ষতি শুধু এই
জেলার নয়, গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে।’

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাদকসেবীদের মধ্যে এখন কিশোর ও তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’


এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের পরেও মাদক কারবারিদের মূল সিন্ডিকেট আমরা ভাঙতে পারছি না। প্রশাসনের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাদক নির্মূলে পরিবার, সমাজ ও স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

মন্তব্য (০)





image

দক্ষ যুবশক্তিই আগামীর কাণ্ডারি: সাইয়েদুল আলম

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর রেড ক্রিসে...

image

মুক্তাগাছায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে...

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: মুদির দোকানে মাত্র ৩৫০ টাকা বাকির জেরে ম...

image

নড়াইলে পূবালী ব্যাংকের ২৪২তম উপ-শাখার উদ্বোধন

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র&nbs...

image

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস ভূমি: উপদেষ্টা আলী ইমাম মজ...

নিউজ ডেস্কঃ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস ভূমি। এটা কিন্তু ...

image

গাইবান্ধায় দুই সন্তানের বাবাকে নাবালক শিশু দেখিয়ে কারাগার...

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় ২৫ বছরের যুবক ও দুই সন্তানের...

  • company_logo