• লিড নিউজ

ইউরোপের পর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া হতে পারে করোনার কেন্দ্রস্থল’

  • লিড নিউজ
  • ০৩ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:৫৫:৪৬

দক্ষিণ এশিয়ায় সারাবিশ্বের তিনভাগের একভাগ মানুষের বসতি। সবমিলিয়ে এখানে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। চীন, স্পেন, আমেরিকা, ইতালির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কম। এই আটটি দেশে এখন পযর্ন্ত পাঁচ হাজার এর নিচে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তবে ইউরোপ আমেরিকার পর দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া করোনার কেন্দ্রস্থল হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার এসকল দেশগুলোর অনুন্নত অবকাঠামোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশগুলো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার ও বেডের সংখ্যা কম। যেখানে আমেরিকা, ইতালি তাদের মোট জিডিপির পর্যায়ক্রমে ১৭.১ ও ৮.৯ শতাংশ ব্যয় করে স্বাস্থ্যখাতে, সেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করে যথাক্রমে ২.৪ শতাংশ, ৩.৭ শতাংশ, ও ২.৮ শতাংশ। কিন্তু, এগুলো ছাড়া আরো কিছু উদ্বেগের কারণ আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কর্মক্ষম জনগণও একটি উদ্বেগের কারণ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্ভাব্য ঝুঁকির আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, জনমিতি। প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের সুফল যেমন- মোবাইল ফোন, এসব দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌছালেও মানুষ এখনও বিজ্ঞানবিমুখ। একারণে, এখনও অনেক লোক ধর্মীয় এবং টোটকা চিকিৎসার ওপর আস্থাশীল। সবশেষ তথ্যমতে ভারতে মোট আক্রান্ত দুই হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে গেলো ৪৮ ঘণ্টায় সংক্রমিত এক হাজারের বেশি। যার বেশিরভাগই দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে অংশ নেয়া মুসল্লি। এ ভাইরাসে দেশটিতে মারা গেছে ৭২ জন। পাকিস্তানে এক দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছে ৩০৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে পাঞ্জাবেই আক্রান্ত প্রায় এক হাজার। কোভিড নাইনটিনের প্রকোপে পাকিস্তানে প্রাণহানির সংখ্যা ৩৪। এদিকে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ৬১ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৬ ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন। আর কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২৬ হাজার ২৩ জন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo