• জাতীয়

শুধু কীটনাশক ছিটিয়ে মশা নিধন সম্ভব নয়: কলকাতার মেয়র

  • জাতীয়
  • ০৫ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৪৯:১১

শুধু কীটনাশক দিয়ে মশা নিধন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক ভিডিও কনফারেন্সে আজ সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে অংশ নেন তিনি। এসময় অতীন ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিধনে কলকাতা পৌরসভা গত নয় বছর ধরে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার ধাপ দুটি। এক- প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক), দুই- কিউরেটিভ (প্রতিকারমূলক)। তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা সিটি করপোরেশন উদ্যোগের উদাহরণ দিয়ে অতীন বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল আমরা খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেই। এর জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ার্ড লেভেল, বোরো লেভেল বা জোন এবং সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় লেভেল- এই তিন স্তর থেকে মনিটরিং করা হয়। ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের প্রতি জোর দিয়ে অতীন আরো বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কী, সে বিষয়ে সঠিক ধারণা দরকার, আর তা নিতে হলে তথ্য দরকার। আমাদের ১৪৪টি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ১৪৪ জন কর্মী আছেন, যাদের কাজই হচ্ছে প্রতিদিনের তথ্য নেওয়া। তারা হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নেন এবং তার বাসায় গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজেন। পেয়ে গেলে সেটি ধ্বংস করা হয়। এভাবে কোথায় কোথায় ডেঙ্গুর প্রজননস্থল আছে তার একটা চিত্র পাই আমরা। আর সেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করার প্রতি জোর দিয়ে কলকাতা সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক ডা. তপন মুখার্জি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের তিনটি বিভাগের (স্বাস্থ্য, বর্জ্য এবং ভেক্টর কন্ট্রোল) প্রতিনিধিরা প্রতিদিনের তথ্য পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা করে তারা দেখেন, এখন কী করতে হবে এবং আগামীকাল কী করতে হবে। সেই প্রতিবেদন প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দিয়ে বলা হয়, তাকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর কাউন্সিলর সেসব করছেন কি-না, তা ব্যুরো বা জোন লেভেল এবং কেন্দ্রীয় লেভেল থেকে মনিটরিং করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কলকাতা সিটি করপোরেশন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo