ছবিঃ সিএনআই
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: গত পাঁচদিন থেকে লালমনিরহাটে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ।শীতের সঙ্গে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি।
মঙ্গলবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২ টা পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে থাকে। আর হিমেল বাতাসে তীব্র শীতের কবলে পড়েছে ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী চরের হতদরিদ্র মানুষ। এদিকে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা। পাশাপাশি তীব্র শীতের কাঁপছে গবাদি পশু পাখি।
ঘনকুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলাচল করছে। লালমনিরহাটের হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। নিম্ন আয়ের মানুষেরা প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাবে ফুটপাতে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভীড় করছেন। পুরনো কাপড়ই ভরসা তাদের।
তিস্তা পাড়ের কৃষক আব্দুর রশিদ , চন্দন কুমার বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা পড়ছে। কাজে বের হতে পারছিনা। কুয়াশায় রাস্তা ঘাট দেখা যায় না। কাজ করার সময় শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই মাসে তাপমাত্রা আরও কমে দুই তিনটি শৈতপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন,চলমান শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। শীত কবলিত মানুষদের তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হবে।
তৌহিদুল ইসলাম/ লালমনিরহাট/১০.১২.২৪
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বা...
গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অবসর প্রাপ্ত শিক...
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে ১৭ বছর পর উপজেলা, ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক ব্যবসায়ীর ৭টি...
মন্তব্য ( ০)