কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতারা। তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কমিটি বাতিল না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে সমবেত হয়ে সাবেক কমিটির নেতাসহ হাজারো কর্মী। তারা বর্তমান নবগঠিত কুতুব-জাকিরের নেতৃত্বের কমিটিকে অবৈধ বলেও আখ্যা দেন। পরে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এনএস রোড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রবেশ মুখ মজমপুর গেটে সমাবেশ হয়ে বিক্ষোভ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, আমাদের পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বর্তমান এ কমিটি করা হয়েছে। যারা অন্য সময় মামলা মোকাদ্দমা খেয়ে বাড়ি ছাড়া ছিল। আজ তাদেরকে বাদ দিয়ে বর্তমানে এ কমিটি করা হয়েছে। যাদেরকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে তারা কোন সময়ই রাজপথে ছিল না। বর্তমান কমিটি আমাদের জেলার রাজনীতিকে শেষ করে দিচ্ছে। আমরা ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছি এই কমিটি বাতিল করতে। এই কমিটি যতদিন বাতিল না হবে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের দাবি বর্তমান আহবায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি দিতে হবে।
সমাবেশে কুষ্টিয়া বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. শামীমুল হাসান অপু বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি কতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে যে কমিটি ঘোষণা করেছিল তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। কেন্দ্রীয় কমিটি যেটা ভালো মনে করেছে, তা মেনে নিয়েছিলাম।
আমরা তাদের কাছে গেছি, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ভেবেছিলাম তারা সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করবে। কিন্তু আমাদের সেই ভাবনা ভুল ছিল। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিলে নিজেদের লোকজন দিয়ে ৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছে, যা আমাদের মতো বহু নেতার রাজনৈতিক ভবিষৎ ধ্বংসের নীলনকশা। আমরা তা বাস্তবায়ন হতে দেবো না।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ত্যাগীদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।
বরং যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ব্যবসা করেছেন তারাই স্থান পেয়েছেন। জেলার তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যকেও এই কমিটিতে সদস্য পদ দিয়েও রাখা হয়নি। যেটা স্পষ্টত ষড়যন্ত্র।সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, ভেড়ামারা কলেজের সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম নুরু।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ হাবলু মোল্লা ও কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার বলেন, যারা বিক্ষোভ করলেন, তাদের মধ্যে আমাদের মাত্র সাতজন ছিলেন। বাকিদের চিনলাম না। আপনারা যদি চেনেন, আমাদের জানাবেন।
মন্তব্য ( ০)